
ব্যাংকে রিটার্ন করা প্রাইজবন্ড কি ড্রয়ের আওতায় আসে?
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঞ্চয় পদ্ধতিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো প্রাইজবন্ড। প্রাইজবন্ড কেবল নিরাপদ সঞ্চয়ের মাধ্যমই নয়, বরং আকর্ষণীয় পুরস্কার জয়ের সুযোগও করে দেয়। তবে, প্রাইজবন্ড রিটার্ন করলেও ড্র-এ অংশগ্রহণ করে কিনা, সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ঠিক থাকে না। আজকের আলোচনায় আমরা এই বিষয়েই জানবো।
প্রাইজবন্ড রিটার্ন কেন করা হয়?
এটি ব্যাংকে প্রাইজবন্ড ফেরত দিয়ে বা বিক্রির মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার পদ্ধতি। এটি সাধারণত গ্রাহকদের প্রাইজবন্ড বিক্রি করে নগদ অর্থ পেতে চাইলে ব্যবহৃত হয়। প্রাইজবন্ড রিটার্ন করার মাধ্যমে গ্রাহক তার বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া যেখানে প্রাইজবন্ডের মালিক ব্যাংকে গিয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার প্রাইজবন্ড জমা দেন এবং তার বিনিময়ে নগদ অর্থ পান। প্রাইজবন্ডের মূল্য তার মূল ক্রয়মূল্যের সমান থাকে এবং প্রাইজবন্ড রিটার্ন করার প্রধান কারণ হলো, গ্রাহকের আর্থিক প্রয়োজন মেটানো। কিছু ক্ষেত্রে, প্রাইজবন্ডের মালিকরা তাদের বন্ডগুলো বিক্রি করে সেই অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করতে চান বা কেউ কেউ প্রাইজবন্ড ধরে রাখার চেয়ে তা নগদ অর্থে পরিণত করা বেশি লাভজনক মনে করে।
ড্র'তে অংশগ্রহণের শর্তঃ
আপনি প্রাইজবন্ড কিনেছেন বা কোন ব্যাংক থেকে কিনেছেন, ড্র'তে অনশগ্রহনের জন্য এই বিষয়গুলো বিবেচ্য নয়। মূল বিবেচ্য বিষয় হয় প্রাইজবন্ডের গায়ে যে তারিখ লেখা থাকে সেই তারিখ থেকে ড্র'র দিন পর্যন্ত দুই মাস হতে হয়। প্রাইজবন্ড ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ হল বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে বিক্রয় করা হয়, সেইদিনের সিল সংযুক্ত করা থাকে।
প্রাইজবন্ড রিটার্ন: ড্র-এ অংশগ্রহণ এবং মালিকানা
আমরা যখন প্রাইজবন্ডগুলো ব্যাংকে জমা করি, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেদের অর্থ দিয়ে সেগুলো কিনে রাখে। প্রাইজবন্ড একবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হলে, তা ড্রয়ের আওতাভুক্ত হয়। প্রাইজবন্ড একটি বাহকী দলিল; বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইস্যু হওয়ার পর যার কাছে থাকে, তিনি এর মালিক হন। আপনি বা আমি যখন প্রাইজবন্ড কিনে কোনো ব্যাংকে ফেরত দেই, তখন সেই প্রাইজবন্ডও ড্রয়ের আওতায় থাকে। ফলে, রিটার্ন করা প্রাইজবন্ডের নম্বর বিজয়ী হলে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষই এর দাবিদার হবে। প্রাইজবন্ড বিক্রির পর যেকোনো ড্রতে অংশগ্রহণের অধিকার শুধুমাত্র সেই ব্যক্তির থাকবে, যার কাছে তখন প্রাইজবন্ডটি থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হওয়ার পর, যিনি প্রাইজবন্ডটি রাখেন, তিনিই সেটির মালিক হন। যদি তিনি এটি ফেরত না দেন, তবে প্রাইজবন্ডের ড্রয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এবং বিজয়ী হলে পুরস্কারের দাবিদার হবেন।
উপসংহার:
প্রাইজবন্ড একটি লাভজনক বিনিয়োগ হতে পারে, যদি তা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ থাকার কারণে অনেকেই প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ করে। প্রাইজবন্ডের মাধ্যমে সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা ড্রয়ের মাধ্যমে অর্থলাভের সুযোগ পেতে পারেন। তাই, সঠিক সময়ে প্রাইজবন্ড ধরে রাখা এবং ড্রয়ের সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
Latest Blog
একটি নাম্বার একবার বিজয়ী হওয়ার পর কিভাবে আবার বিজয়ী হয়? পরের ড্রতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তো আর...
২৯ মে ২০২৪ ২,৪০০
প্রাইজবন্ড হলো একটি সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর লটারির মাধ্যমে পুরস্ক...
২৭ জুলাই ২০২৪ ২,১৮৩
প্রাইজবন্ডের পুরস্কার দাবির জন্য আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদন করতে...
২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৩,৯০১
না, একজনের প্রাইজবন্ডের নাম্বার দিয়ে অন্য কেউ পুরস্কার নিতে পারবে না। প্রাইজবন্ড একটি বাহক দলিল, তা...
২৫ মে ২০২৪ ২,৭২০
১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্রতে তিনি প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। তার প্রাইজবন্ডের নম্বর হল কঙ ০৬০৩৯০৮।
০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬,৭২১
শ্রোতাদের কথা: আমরা আমাদের গ্রাহকদের মতামতকে মূল্য দিই! ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম...
২৮ অক্টোবর ২০২১ ২,৭০৮
এই ড্র’তে নতুন করে “ঘগ” সিরিজটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে এবার ড্র’তে নতুন একটি প্রথম পুরস্কারস...
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ২৯,৭৯৪
প্রাইজবন্ডকে লিকুইড ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়। তাই প্রাইজবন্ডের মালিকেরা এক ধরনের স্বাধীনত...
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২,০৬৮
১২০তম প্রাইজবন্ড ড্র-তে প্রাচুর্য ডট কমের ৬৯ জন সদস্য বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন! আমাদের প্রত্যাশ...
৩১ জুলাই ২০২৫ ৮৪,৪৮৬