প্রাচুর্য ডট কম একটি অটোমেটেড সিস্টেমে প্রাইজবন্ড চেকার। এখানে যেকোনো বাংলাদেশি জনগণ তার প্রাইজবন্ডের নাম্বার সংরক্ষণ করতে পারবেন। Prize Bond Draw Result Check ও ড্রর ফলাফলের সাথে নিজের প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলিয়ে দেখতে পারবেন। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সরকারের একটি অন্যতম সেক্টর Prize Bond এর সুফল সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া।
প্রাচুর্য ডট কম সম্পর্কে বলতে গেলে যার কথা প্রথমেই বলতে হয়, তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার কথা। তিনি একজন যন্ত্রপ্রকৌশলী, যার নিরন্তর ভাবনা, নিজের মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে খুব সামান্য হলেও মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে তোলার মাধ্যমে জনসাধারণকে সেবা দেয়া। শখের বশে আমাদের কাজের শুরু। আমাদের দেয়া সেবা এখন গণমানুষের কোনো একটা সমস্যার সমাধানের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে।
আজকের পৃথিবী দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট যুগের দিকে। মোবাইল ফোন হাতে নিয়েই আমরা এখন সব কিছু করতে পারি। খাবার অর্ডার করা থেকে শুরু করে ব্যাংকের কাজ পর্যন্ত সবই এখন আমাদের আঙুলের ছোঁয়ায়। এই স্মার্ট যুগের সুবাদে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে। সময় বাঁচছে, কাজের দক্ষতা বেড়েছে, এবং জীবন যাপন আরও সুন্দর হয়েছে।
এই অগ্রযাত্রার পেছনে আছে হাজার হাজার উদ্ভাবকের অক্লান্ত পরিশ্রম। তাদের সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তি জ্ঞানের কারণেই আমরা আজ এই সুবিধা ভোগ করতে পারছি। আমরাও চাই এই স্মার্ট বিশ্বের অগ্রযাত্রায় একজন সক্রিয় অংশীদার হতে। আমরা চাই, আমাদের কোনো উদ্ভাবন জনসাধারণের কাজে লাগে। সেটা যতই ছোট একটি বিষয়ই হোক না কেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু দক্ষতা আছে এবং সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি।
প্রাইজবন্ড ড্র-এ বিজয়ী হওয়ার পরও অনেকেই পুরস্কার গ্রহণ করছেন না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা এক চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছি। পূর্ববর্তী বছরগুলোর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রাইজবন্ড ড্র-এ বিজয়ীদের সংখ্যা প্রায় ৫০% কমে গেছে।
এর মূল কারণ হলো, বিজয়ীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা বিজয়ী হয়েছে! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। অনেকের কাছেই প্রাইজবন্ড ড্র সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছায় না। তারা জানেন না কখন ড্র হয়, কোথায় ফলাফল প্রকাশিত হয়, এবং নিজের প্রাইজবন্ডের নাম্বরের সাথে ফলাফল মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়াটি কতটা জটিল।
এই তথ্যের অভাবই হলো মূল সমস্যা। সাধারণ মানুষের কাছে প্রাইজবন্ড ড্র সম্পর্কিত সঠিক ও সময়োচিত তথ্য পৌঁছাতে না পারায় অনেকেই তাদের জিতে নেওয়া পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই শূন্যতা থেকেই আমাদের শুরু। আমরা চাই প্রত্যেক প্রাইজবন্ডধারী যেন সহজেই জানতে পারেন কখন ড্র হয়, কোথায় ফলাফল দেখতে পাওয়া যায়, এবং নিজের নাম্বর মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়াটি কতটা সহজ। আমাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চাই প্রত্যেক বিজয়ী যেন তাদের জিতে নেওয়া পুরস্কারটি নিশ্চিতভাবে পেতে পারেন।
প্রাইজবন্ড ড্রর পর আমরা বিজয়ীকে এস এম এস ও ই-মেইল করে জানিয়ে দিচ্ছি। বিজয়ীর কোনো নাম্বার কততম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে। যাতে কোনো বিজয়ী পুরস্কার গ্রহণ করা হতে বঞ্চিত না হয়।
বেসিক সার্ভিস ঃ যে সার্ভিস সমূহ এখন আমাদের গ্রাহকদের জন্য ওপেন করা আছে। গ্রাহকের প্রাইজবন্ড নাম্বার সংরক্ষণ করা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা। Prize Bond Draw Result এর সাথে গ্রাহকের প্রাইজবন্ডের নাম্বার ম্যাচিং করে বিজয়ী হলে মোবাইলে এস এম এস ও ই-মেইল করে জানিয়ে দেয়া। একজন গ্রাহক ফ্রি প্যাকেজের আওতায় ০৫টি প্রাইজবন্ডের নাম্বার সংরক্ষণ করতে পারবেন। ফ্রি প্যাকেজের জন্য কোনো চার্জ বা ফি প্রদান করতে হয় না। এই বেসিক সার্ভিস সমূহ আমাদের গ্রাহকদের জন্য সবসময়ই ফ্রি থাকবে।
প্রিমিয়াম সার্ভস : আমাদের প্রিমিয়াম সার্ভিসের মধ্যে যা যা থাকছে ০৫টির বেশী প্রাইজবন্ডের নাম্বার সংরক্ষণ করা যাবে। পূর্ববর্তী দুই বছরের রেজাল্টের সাথে মেলানো যাবে। পরবর্তী ড্রর ফলাফল মোবাইলে এস এম এস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। ২০ বছরের ড্র রেজাল্টের সাথে মিলিয়ে দেখা যাবে। নিজের কাছে থাকা প্রাইজবন্ড বিক্রয়ের জন্য বিক্রয়াদেশ দিতে পারবেন, প্রাইজবন্ড কেনার জন্য ক্রয়াদেশ দিতে পারবেন যারা যারা প্রাইজবন্ড কেনা বা বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাদের নাম, ফোন নাম্বার, লোকেশন দেখা যাবে। ক্রেতা বা বিক্রেতার সাথে চ্যাট করা যাবে। প্রিমিয়াম সার্ভিস গ্রহণের জন্য কিছু সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
দেশে যত সংখ্যক মানুষের কাছে প্রাইজবন্ড আছে বা থাকবে তার দুই তৃতীয়াংশ (৬৬%) মানুষের কাছে আমাদের সেবা পৌঁছে দেয়া।
পুরস্কার গ্রহীতার হার দিন দিন বেড়ে যাবে। জনসাধারণের মনে যে ভ্রান্ত ধারণা আছে যে কেহ কোনো দিন পুরস্কার পায় না, এই ভ্রান্ত ধারণা দুর হবে। জনপ্রিয়তায় নিম্নগামী ধারা থেকে প্রাইজবন্ড ক্রয় উর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসবে। অর্থনীতির ধারায় ক্যাশ ফ্লো বেড়ে একটা গতির সঞ্চার হবে।
আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুপার হিউম্যান সোসাইটি যা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি ও সরবরাহ করে আসছে ২০১৯ সাল থেকে। ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব লিঙ্ক।