
দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্রর "ফিরোজ আলম"।
ঢাকার ধামরাইয়ে জন্ম নেওয়া সাধারণ এক যুবক ফিরোজ আলমের জীবনে এসেছ এক বড় ধরনের সুসংবাদ। চাকুরির সুবাদে তিনি থাকেন ঢাকার মিরপুরে। একজন সাধারণ কর্মচারী হিসেবে নিজের জীবন যাপন করতে গিয়ে তিনি কখনো স্বপ্নও দেখেননি যে একদিন তিনি প্রাইজবন্ডের বড় কোন পুরস্কার পাবেন। কিন্তু ভাগ্য তার দিকে হাসি মুখে তাকিয়েছিল।
শুধুমাত্র শখের বশে কেনা প্রাইজবন্ড তাকে দিয়েছে এই সুসংবাদ। প্রথমবারের মতো প্রাইজবন্ড কিনেছিলেন ফিরোজ আলম এবং প্রথম ড্রতেই তিনি জিতে নিলেন প্রাইজবন্ডের প্রথম সারির পুরস্কার। তার জয়ী প্রাইজবন্ডের নাম্বর হল গষ ০৬২৯২২০। প্রমাণ হিসেবে প্রাইজবন্ডের ছবির অংশবিশেষ এই ব্যানারে যুক্ত করা হয়েছে।
১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্রতে দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী হয়ে ফিরোজ আলম আনন্দে আপ্লুত। এই বিজয়ের খবর পেয়ে ফিরোজ আলমের পরিবার এবং বন্ধুরাও অনেক খুশি। তারা আশা করছেন, এই টাকা দিয়ে ফিরোজ আলম নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারবেন। তবে ফিরোজ আলম এখনও পর্যন্ত এই টাকা দিয়ে কী করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেননি।
এই ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
➧ ভাগ্য যে কারোর দরজায় আসতে পারে: ফিরোজ আলমের এই গল্প প্রমাণ করে যে, ভাগ্য যে কারোর দরজায় আসতে পারে। ছোট্ট একটি স্বপ্ন এবং একটু আশা জাগিয়ে রাখলে জীবন বদলে যেতে পারে।
➧ স্বপ্ন দেখা জরুরি: ফিরোজ আলম হয়ত এত বড় পুরস্কার বিজয়ী হওয়ার কথা কখনো ভাবেননি, কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখতেন। এই স্বপ্নই আজ বাস্তব হয়েছে।
➧ সুযোগকে কাজে লাগানো: ফিরোজ আলম প্রাইজবন্ড কিনেছিলেন শুধুমাত্র শখের বশে, হাতে কিছু বাড়তি টাকা ছিল, এই টাকা দিয়েই প্রাইজবন্ড কেনার সুযোগ গ্রহণ করেছেন।
আমরা ফিরোজ আলমের জন্য কী করতে পারি?
➧ শুভকামনা জানাতে পারি: ফিরোজ আলমকে তার এই সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানাতে পারি।
➧ অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি: ফিরোজ আলমের গল্পকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি এবং আমরাও কোন সুযোগকে কাজে লাগাতে পারি।
➧ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি: এই গল্পটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে পারি।
উপসংহার:
ফিরোজ আলমের এই গল্প আমাদের সবার জন্য একটি প্রেরণা। এই গল্পটি আমাদের শিখিয়েছে যে, স্বপ্ন দেখা, সুযোগকে কাজে লাগানো হলে সফলতা আসতেই পারে।
আপনিও কি ফিরোজ আলমের মতো একটি অবিশ্বাস্য ঘটনার অংশীদার হতে চান?
Latest Blog
হাসিবুল আলম খান, মাত্র ২৩ বছর বয়সে, ১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্রতে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন, যা সত্যিই একটি অ...
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯,৮৭৬
প্রাইজবন্ডের কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। ১. অনিশ্চয়তা: প্রাইজবন্ডের প্রধান নেতিবাচক দিক হলো এর অনিশ্...
১৮ মে ২০২৪ ২,৭৪৩
আপনার কাছে যদি ১৯৯৫, ২০০০, ২০০২ সালের পুরাতন প্রাইজবন্ড থাকে, হতাশ হবেন না! অনেকেই ভাবতে পারেন এত পু...
১৩ মে ২০২৪ ৩,২৯৪
১০০০ পিস প্রাইজবন্ড কিনেও পুরস্কার না পাওয়া হতাশাজনক হলেও এটি বাস্তব। তি ১০ লাখ প্রাইজবন্ডের মধ্যে...
০৬ জুন ২০২৪ ৩,১২৫
একজন প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনজন দ্বিতীয় পুরস্কার, একজন তৃতীয় পুরস্কার, দুইজন চতুর্থ পু...
০১ আগষ্ট ২০২৪ ১৫,২৪৬
১৯৭৪ সালে ১০ টাকা ও ৫০টাকা মানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৫ সালে ১০টাকা ও ৫০টাকার প্রাইজ...
১৭ মে ২০২৪ ২,৯৯৭
প্রাইজবন্ডে কোনো নির্দিষ্ট হারে সুদ বা মুনাফা দেওয়া হয় না, বরং লটারির মাধ্যমে পুরস্কার জেতার সুযোগ থ...
০২ জুন ২০২৫ ২০৪
প্রাইজবন্ড হলো একটি সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর লটারির মাধ্যমে পুরস্ক...
২৭ জুলাই ২০২৪ ১,৭৮৪
১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্রতে তিনি প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। তার প্রাইজবন্ডের নম্বর হল কঙ ০৬০৩৯০৮।
০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫,৯১৩