
সার্ভিস চার্জের মেয়াদ "লাইফটাইম" – এর প্রকৃত অর্থ কী?
প্রত্যেকটি জিনিসের একটি শুরু এবং শেষ আছে। তাই "লাইফটাইম মেয়াদ" শুনলেই যদি মনে হয় এটি অনন্তকাল ধরে চলবে, তাহলে সেটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তাহলে আসলে এর প্রকৃত অর্থ কী?
"লাইফটাইম" শব্দটি "লাইফ" বা জীবন শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য হবে। সাধারণত, যখন কোনো সার্ভিসের জন্য "লাইফটাইম মেয়াদ" বলা হয়, তখন সেটি দুইটি প্রধান শর্তের উপর নির্ভর করে—কখন লাইফটাইম মেয়াদ শেষ হতে পারে?
আপনার সাবস্ক্রিপশন বা সার্ভিসের লাইফটাইম মেয়াদ শেষ হতে পারে দুইটি প্রধান পরিস্থিতিতে—
1️⃣ আপনার দিক থেকে:
✞ আপনি যতদিন আমাদের সার্ভিস ব্যবহার করতে চান, ততদিন করতে পারবেন।
✞ তবে যদি আপনি স্বেচ্ছায় সার্ভিসটি ব্যবহার করা বন্ধ করেন বা আপনার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আপনার জন্য "লাইফটাইম মেয়াদ"ও শেষ হয়ে যাবে।
2️⃣ আমাদের দিক থেকে:
✓ যদি কোনো কারণে আমাদের সার্ভিস স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে "লাইফটাইম" মেয়াদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে।
✓ কোম্পানির নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন হলে লাইফ টাইম এর সাথে অন্য কোন শর্ত যুক্ত হতে পারে।
এই দুই শর্তের মধ্যে যেকোনো একটি ঘটলেই "লাইফটাইম মেয়াদ" কার্যকর থাকবে না।
আমাদের সার্ভিস কি বন্ধ হয়ে যেতে পারে?
আমরা সবসময় চেষ্টা করি, যাতে আমাদের সার্ভিস দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে পারি। তবে বাস্তবতার কারণে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যেমন—
✂ সরকারি নীতিমালার পরিবর্তন: যদি সরকার নতুন কোনো নিয়ম চালু করে, যা আমাদের সার্ভিস পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে।
✂ প্রযুক্তির অগ্রগতি: ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, যা আমাদের সার্ভিসকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল প্রাইজবন্ড যদি চালু হয় এবং সেটি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তাহলে আমাদের সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা কমে যেতে পারে।
✂ অপ্রত্যাশিত অন্যান্য কারণ: যেকোনো অনির্দিষ্ট বা অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।
আমরা আমাদের সার্ভিসের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করি, তবে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা বিবেচনা করেই "লাইফটাইম" মেয়াদের সংজ্ঞাটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শেষ কথা:
"লাইফটাইম মেয়াদ" মানে এটি চিরস্থায়ী নয়, বরং এটি নির্ভর করে সার্ভিসের অস্তিত্ব এবং আপনার সক্রিয় ব্যবহারের উপর। আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে পরিষ্কার ধারণার জন্য এই শর্তগুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Latest Blog
৫২ বছরের নূরুল আমিন ১১৭তম প্রাইজবন্ড ড্র'তে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। তার প্রাইজবন্ডের নাম্বারটি হলো গ...
০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৭,৮২২
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তিনি ১১৬তম ড্র'তে পেয়েছেন দ্বিতীয় পুরস্কার। মাহবুব মোরশেদ, ১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্...
০২ আগষ্ট ২০২৪ ৮,৯৩৫
আধুনিক প্রাইজবন্ডের প্রথম ড্র যুক্তরাজ্যে ১৯৫৭ সালের ১লা জুন অনুষ্ঠিত হয়, আবার বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের...
০১ জুন ২০২৫ ২৫৫
আমাদের প্রধান লক্ষ্য শুধু বর্তমান গ্রাহকদের উপর বার্ষিক চার্জের বোঝা চাপানো নয়, বরং একটি আকর্ষণীয়...
১৯ মে ২০২৫ ২২৭
প্রাইজবন্ডে যদিও পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম, তবুও মানুষ এই প্রাইজবন্ড কেনার মাধ্যমে নি...
২৯ মে ২০২৪ ৪,৩৭৭
সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস থেকে সারা বছর এবং যেকোনো সময় প্রাইজবন্ড কেনা যায়। এছাড়াও...
০৮ মে ২০২৪ ৪,৬৭৯
প্রাইজবন্ডে কোনো নির্দিষ্ট হারে সুদ বা মুনাফা দেওয়া হয় না, বরং লটারির মাধ্যমে পুরস্কার জেতার সুযোগ থ...
০২ জুন ২০২৫ ১৯৮
জোড়া বন্ডের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এতে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা অর্ধেক হয়ে যায়। দুটি বন্ড মিলে একটি ম...
২০ মে ২০২৫ ২৫০
প্রাইজবন্ডের পুরস্কার দাবির জন্য আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদন করতে...
২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ২,৮৩০