প্রাইজবন্ডের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?

প্রাইজবন্ডের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?

প্রাইজবন্ডের কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। 
১। অনিশ্চয়তা: প্রাইজবন্ডের প্রধান নেতিবাচক দিক হলো এর অনিশ্চয়তা। ড্র'তে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
২। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ: প্রাইজবন্ড দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। দ্রুত লাভের আশায় প্রাইজবন্ড কেনা উচিত নয়।
৩। লভ্যাংশের হার কম: প্রাইজবন্ডের লভ্যাংশের হার মাত্র ৬.৫% যা সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক ডিপোজিটের তুলনায় অনেক কম। 
৪। পুরস্কারের কর: এমনিতেই প্রাইজবন্ডের উপর লভ্যাংশের হার খুবই কম তাঁর উপর পুরস্কারের উপর ২০% আয়কর দিতে হয়। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। 
৫। প্রতারণার সম্ভাবনা: নকল টাকা শনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা ও মেশিন ব্যবহার করা হয়। তবে নকল প্রাইজবন্ড বাজারে প্রবেশ করলে তা শনাক্ত করা খুব কঠিন হতে পারে।
৬। জটিল নিয়ম: বিভিন্ন নির্দিষ্ট নিয়ম কেউ কেউ জটিল মনে করতে পারে।
৭। পুরস্কার উত্তোলন পদ্ধতিঃ অনেকের জন্যই পুরস্কার উত্তোলন একটি ঝামেলাপূর্ণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। জটিল প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অসুবিধা, এবং দীর্ঘসূত্রিতা – এসব কিছুই পুরস্কারপ্রাপ্তদের হতাশ করে তুলতে পারে। 
৮। কাগজপত্রের ঝামেলা: পুরস্কার উত্তোলনের জন্য অধিক পরিমাণে কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা সঠিকভাবে পূরণ করা এবং গেজেটের অফিসার দ্বারা সত্যায়িত করা প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়াটি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে।
৯। মুদ্রাস্ফীতি: সময়ের সাথে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে ১০০ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ডের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ১০ বছর আগে ১০০ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ জিনিসপত্র কেনা যেত, আজকের দিনে ১০০ টাকা দিয়ে একই পরিমাণ জিনিসপত্র কেনা অসম্ভব।

উল্লেখ্য যে, প্রাইজবন্ড কেনার আগে এর সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত। 

এছাড়াও, মনে রাখবেন:
➤ পুরানো প্রাইজবন্ড কেনার পর ড্র রেজাল্ট নিয়মিত পরীক্ষা করে নিন।
➤ বিজয়ী নম্বর যাচাই করার পর, দুই বছরের মধ্যে আপনার পুরস্কার দাবি করুন। 

৩,৮১৯ মন্তব্য (০/০) ১৮ মে ২০২৪

Latest Blog

ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতায় আসে?
ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতায় আসে?

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আপনি এবং আমার মতো সাধারণ গ্রাহক হিসেবে কল্পনা করুন। যেমন আমরা প্রাইজবন্ড কেনা...

২৬ মে ২০২৪ ৩,১৩৭

১২০তম প্রাইজবন্ড ড্র, ৮২টি  ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারসহ ৩৭৭২টি পুরস্কার।
১২০তম প্রাইজবন্ড ড্র, ৮২টি ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারসহ ৩৭৭...

১২০তম প্রাইজবন্ড ড্র, ৮২টি ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারসহ ৩৭৭২টি পুরস্কার।

৩১ জুলাই ২০২৫ ৮,৯৬৩

প্রাইজবন্ডের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?
প্রাইজবন্ডের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?

প্রাইজবন্ডের কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে।  ১. অনিশ্চয়তা: প্রাইজবন্ডের প্রধান নেতিবাচক দিক হলো এর অনিশ্...

১৮ মে ২০২৪ ৩,৮১৯

আমরা কেন প্রাইজবন্ড কিনি?
আমরা কেন প্রাইজবন্ড কিনি?

আমাদের সবার স্বপ্ন একটাই—৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার জেতা আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রাইজবন...

১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২,৪১৮

জোড়া বন্ডের সুবিধা অসুবিধা:
জোড়া বন্ডের সুবিধা অসুবিধা:

জোড়া বন্ডের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এতে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা অর্ধেক হয়ে যায়। দুটি বন্ড মিলে একটি ম...

২০ মে ২০২৫ ১,৩৬৭

ব্যাংকে রিটার্ন করা প্রাইজবন্ড কি ড্রয়ের আওতায় আসে?
ব্যাংকে রিটার্ন করা প্রাইজবন্ড কি ড্রয়ের আওতায় আসে?

প্রাইজবন্ড একটি বাহকী দলিল; বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইস্যু হওয়ার পর যার কাছে থাকে, তিনি এর মালিক হন। আপ...

২৯ মে ২০২৪ ২,৯০২

প্রাইজবন্ডে লভ্যাংশের হার কত?
প্রাইজবন্ডে লভ্যাংশের হার কত?

প্রাইজবন্ডে সরাসরি লভ্যাংশের হার নির্ধারিত নেই। বাংলাদেশের প্রাইজবন্ড ছোট ও মাঝারি আয়ের লোকেদের জন্...

১৯ মে ২০২৪ ৩,১৩৪

ড্রর আগের দিন কেনা প্রাইজবন্ড কি ড্র’তে আসে?  
ড্রর আগের দিন কেনা প্রাইজবন্ড কি ড্র’তে আসে?  

কার্যকর থাকলেই যে সকল প্রাইজবন্ড সকল ড্র’তে অংশ নিবে এমন নয়। আপনার কেনা প্রাইজবন্ড ড্রতে আসবে কিনা এ...

২৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩,৫৯৫

প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ ঝুকিমুক্ত কি না?
প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ ঝুকিমুক্ত কি না?

প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগে কিছু ঝুঁকি থাকলেও এটি একেবারে ঝুঁকিমুক্ত বলা যায় না। মূলধন সুরক্ষার দিক থেকে...

২০ আগষ্ট ২০২৪ ২,৬৪১

প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত ব্লগ সমূহ