প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র - ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার পুরস্কার।

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র - ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার পুরস্কার।

আগামী ৩০শে এপ্রিল, রোজ বুধবার, অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র। ১৯৯৫ সালে প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে এই জনপ্রিয় সঞ্চয় প্রকল্পটি নিয়মিতভাবে ড্র আয়োজন করে আসছে, যা ইতোমধ্যে ১১৮টি সফল ড্র সম্পন্ন করেছে।

এই ১১৯তম ড্র বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হতে চলেছে, কারণ এতে যুক্ত হচ্ছে "ঘঘ" নামের একটি নতুন সিরিজ। এই নতুন সিরিজটি যুক্ত হওয়ার ফলে প্রাইজবন্ডের মোট সিরিজের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮২টিতে।

প্রত্যেকটি সিরিজেই থাকছে একটি করে প্রথম পুরস্কার, যার আর্থিক মূল্য ৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, ৮২টি সিরিজের জন্য প্রথম পুরস্কারের সংখ্যাও হবে ৮২টি এবং এই সংখ্যক বিজয়ীরা প্রত্যেকেই ৬ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারের অর্থ লাভ করবেন।

যদি আমরা সকল প্রকার পুরস্কার বিবেচনা করি, তবে প্রতিটি সিরিজে মোট ৪৬টি পুরস্কার বিদ্যমান। সেই হিসেবে, ৮২টি সিরিজের জন্য সর্বমোট পুরস্কারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩,৭৭২টিতে।

প্রতিটি সিরিজের এই ৪৬টি পুরস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত প্রাইজমানির মোট পরিমাণ ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সুতরাং, ৮২টি সিরিজের জন্য সামগ্রিক প্রাইজমানির পরিমাণ দাঁড়াবে বিশাল অঙ্কের ১৩ কোটি ৩২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তবে, পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে এই সম্পূর্ণ অর্থ তুলে দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, এই অর্থের উপর ২০% হারে ট্যাক্স বা কর কর্তন করা হবে।

প্রাইজবন্ড জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হলেও এর ক্রয়-বিক্রয়, ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং পুরস্কারের অর্থ বিতরণ সহ যাবতীয় operational কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, সরকার জনগণের হাতে কাগুজে প্রাইজবন্ড তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে। এই ঋণের অর্থ দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়। এর বিনিময়ে, জনগণ প্রতি তিন মাস অন্তর একটি ড্রয়ের সুযোগ লাভ করে।

দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি তিন মাস অন্তর বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে, এই ড্রয়ে হয়তো তাদের কোনো একটি নম্বর প্রথম পুরস্কার লাভ করবে। পুরস্কার প্রাপ্তির সেই আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়।

যাদের কাছে অলস বা অব্যবহৃত অর্থ জমা পড়ে আছে, তাদের জন্য প্রাইজবন্ড কিনে রাখা একটি বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। এটি একদিকে যেমন একটি নিরাপদ সঞ্চয় মাধ্যম, তেমনি অপ্রত্যাশিতভাবে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগও সৃষ্টি করে। তবে, যাদের অর্থ প্রতিনিয়ত বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য অপরিহার্য, তাদের জন্য প্রাইজবন্ড সম্ভবত তেমন লাভজনক বিনিয়োগের বিকল্প নয়।

১,৬৭৯ মন্তব্য (১/০) ২২ এপ্রিল ২০২৫

Latest Blog

১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। 118th Prize Bond Draw...

১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে। এই ড্রতে ৮১টি সিরিজের প্রাইজবন্ডের...

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১,২৮১

প্রাইজবন্ডের জনপ্রিয়তার পতনের কারণ?

প্রাইজবন্ড একসময় বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প ছিল। এক দশক আগেও প্রাইজবন্ড উপহার ও পুরস...

২০ মে ২০২৪ ১,৮৯০

১১৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০...

৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হলো ১১৯তম প্রাইজবন্ডের ড্র। এই ড্রয়ের সবচেয়ে আকাঙ্খিত পুরস্কার, প্...

৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৮,৬৩৮

প্রথম পুরস্কার বিজয়ী "সাইফ উদ্দীন রাজা"১১৪তম ড্র

সাইফ উদ্দীন রাজা, প্রাচুর্য ডট কমে তার প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রি করার পর জানতে পারেন যে তিনি ১১৪ত...

০৩ জুন ২০২৪ ৪,৫৬৫

প্রাইজবন্ড কি সুদমুক্ত বিনিয়োগ?

প্রাইজবন্ডে কোনো নির্দিষ্ট হারে সুদ বা মুনাফা দেওয়া হয় না, বরং লটারির মাধ্যমে পুরস্কার জেতার সুযোগ থ...

০২ জুন ২০২৫ ৩৪১

১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র কবে হবে? When will be the 118th prize b...

১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্রতে ঘঘ সিরিজ অন্তর্ভুক্ত হলেও ২ মাস পূর্ণ না হওয়ায় এই সিরিজ থেকে কোনো পুরস্কার...

২০ জানুয়ারী ২০২৫ ৭,২৪৯

নতুন ভার্সনের প্রাচুর্য অ্যাপস প্লে স্টোরে আসবে খুব শীঘ্রই।

বর্তমান অ্যাপের উন্নত সংস্করণ নিয়ে কাজ চলছে, যেখানে আরও আধুনিক ফিচার ও উন্নত পারফরম্যান্স যুক্ত থাকব...

৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১,৪৪৬

বিজয়ী প্রাইজবন্ড পুনরায় ড্রয়ে অংশ নিতে পারবে কি?

একটি নাম্বার একবার বিজয়ী হওয়ার পর কিভাবে আবার বিজয়ী হয়? পরের ড্রতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তো আর...

২৯ মে ২০২৪ ২,০৯৯

প্রাইজবন্ড কিনতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয় কি?

প্রাইজবন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক নয়। যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক নগদ টাকা দিয়...

১৪ মে ২০২৪ ২,০৬৩

প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত ব্লগ সমূহ