ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতায় আসে?
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিম হল প্রাইজবন্ড। অনেকেই প্রাইজবন্ড কিনে থাকেন, কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতায় আসে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা প্রদান করে।
হ্যাঁ, ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ডও ড্র'র আওতায় আসে। কারণ ব্যাংক প্রাইজবন্ডের বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে, মালিক নয়। প্রাইজবন্ডের মূল মালিক হল “বাংলাদেশ ব্যাংক”। যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড বিক্রয় না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের মালিকানা থাকবে। একবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড বিক্রয় হলে, সেই প্রাইজবন্ড যার কাছে থাকবে, তিনিই সেই প্রাইজবন্ডের মালিক হবেন। অতএব, যতক্ষণ পর্যন্ত কোন প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের মালিকানাধীন থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই প্রাইজবন্ড কোন ড্র-এর আওতায় আসবে না।
পুরস্কারের দাবিদার কে?
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আপনি এবং আমার মতো সাধারণ গ্রাহক হিসেবে কল্পনা করুন। যেমন আমরা প্রাইজবন্ড কেনার জন্য টাকা বিনিয়োগ করি, তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কিনতে টাকা ব্যয় করে। যখন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইজবন্ড বিক্রি করে, তখন সেগুলোর গায়ে বিক্রয়ের সিল মেরে দেয়। এর ফলে প্রাইজবন্ডগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মালিকানায় চলে যায়। যদি ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা প্রাইজবন্ডগুলোর মধ্যে কোনটি পুরস্কারের তালিকায় আসে, তবে সেই পুরস্কারের মালিক হবে সেই ব্যাংক।
ব্যাংকের ভূমিকা:
ব্যাংক প্রাইজবন্ডের বিক্রেতা এবং গ্রাহকদের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। তারা প্রাইজবন্ড কেনা-বেচার সুবিধা প্রদান করে এবং গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। ব্যাংক ড্র' সম্পন্ন করে না, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত ড্র' প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
Latest Blog
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তিনি ১১৬তম ড্র'তে পেয়েছেন দ্বিতীয় পুরস্কার। মাহবুব মোরশেদ, ১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্...
০২ আগষ্ট ২০২৪ ১১,৪০৬
বর্তমান অ্যাপের উন্নত সংস্করণ নিয়ে কাজ চলছে, যেখানে আরও আধুনিক ফিচার ও উন্নত পারফরম্যান্স যুক্ত থাকব...
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৩,০৯২
প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর ২০% উৎসে কর প্রযোজ্য। পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এই কর কেটে রাখেন, ফল...
০২ জুন ২০২৫ ২,০২৪
প্রাইজবন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক নয়। যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক নগদ টাকা দিয়...
১৪ মে ২০২৪ ৩,৮৮৭
১৯৭৪ সালে ১০ টাকা ও ৫০টাকা মানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৫ সালে ১০টাকা ও ৫০টাকার প্রাইজ...
১৭ মে ২০২৪ ৫,৫৯৮
বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড ড্র নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা যায়, যা এর স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় তৈরি করে। অসম্পূর্...
৩১ মে ২০২৫ ১,৬৩৮
আমাদের প্রধান লক্ষ্য শুধু বর্তমান গ্রাহকদের উপর বার্ষিক চার্জের বোঝা চাপানো নয়, বরং একটি আকর্ষণীয়...
১৯ মে ২০২৫ ১,৫৮৫
সরকার পতনের কারণে প্রাইজবন্ডের কার্যক্রমে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বা কিছু নিয়মে পরিবর্তন আসতে পারে।...
০৮ আগষ্ট ২০২৪ ৩,১৮৬
প্রাইজবন্ড কিনতে সাধারণত কোনো কাগজপত্র লাগে না, নগদ টাকায় কেনা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি...
২৯ মে ২০২৫ ২,৫৯৮








