কেন কিনবেন প্রাইজবন্ড?

কেন কিনবেন প্রাইজবন্ড?

কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সঞ্চয়ের টাকা কোথায় এবং কিভাবে কাজে লাগাবেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার বিষয়। বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে ঝুঁকির পরিমাণ ভিন্ন হয়। প্রাইজ বন্ডে বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে আলাদাভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। প্রাইজ বন্ড কেনার আরও কিছু আকর্ষণীয় কারণ রয়েছে।

ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ:
⮚ ঝুঁকি কম: প্রাইজবন্ড সরকার কর্তৃক সমর্থিত হওয়ায় এটি একটি তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
⮚ সম্ভাব্য উচ্চ রিটার্ন: নিয়মিত ড্রয়ের মাধ্যমে আপনি মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি পুরস্কার জিততে পারেন।
⮚ নিশ্চিত মূল ফেরত: ড্রয় জিততে না পারলেও, আপনি মেয়াদ শেষে আপনার মূল টাকা ফেরত পাবেন।
⮚ সুতরাং, এটি ঝুঁকি কম বিনিয়োগের একটি পদ্ধতি।

নিয়মিত আয়ের সুযোগ:
◑ নিয়মিত ড্র: প্রতি তিন মাস অন্তর প্রাইজ বন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ড্র'তে বিভিন্ন মূল্যের আকর্ষণীয় পুরস্কার থাকে।
◑ পুনঃবিনিয়োগের কৌশল: জেতো পুরস্কারের একটি অংশ পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে আপনার নিয়মিত আয়ের স্রোত আরও শক্তিশালী করতে পারেন।

 দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের উপযোগী:
মেয়াদ শেষ নেই: প্রাইজ বন্ডের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয় না। আপনি যতদিন চান ততদিন এটি ধরে রাখতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা, কারণ এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়।
⮚ মূলধন ফেরত: আপনি যখনই চান তখনই প্রাইজ বন্ড ভাঙিয়ে আপনার মূলধন ফেরত পেতে পারেন। তবে, মনে রাখবেন যে মেয়াদ শেষের আগে ভাঙিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জরিমানা প্রযোজ্য হতে পারে।

অন্যান্য সুবিধা:
✓ দেশের উন্নয়নে অবদান: প্রাইজ বন্ড কেনার মাধ্যমে আপনি সরকারকে ঋণ প্রদান করেন, যা দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়।
✓ অনন্য উপহার: প্রিয়জনকে জন্মদিন, বিয়ে, বা অন্য কোন বিশেষ উপলক্ষ্যে প্রাইজ বন্ড উপহার হিসেবে দেওয়া যায়। এটি একটি অসাধারণ এবং অর্থপূর্ণ উপহার হতে পারে।
✓ সকলের জন্য: মাত্র ১০০ টাকা থেকেই প্রাইজ বন্ড কেনা যায়, যা এটিকে সকলের জন্য একটি সহজলভ্য বিনিয়োগ বিকল্প করে তোলে।

কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
◑ প্রাইজবন্ডে যদিও বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত, তবু নিশ্চিতভাবে পুরস্কার জিতা যায় না।
◑ দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলেই বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।
◑ নিয়মিত ড্র-এর ফলাফল চেক করা উচিত।
◑ পুরস্কার জিতলে যথাযথ কর প্রদান করতে হবে।

২,৪৪০ মন্তব্য (০/০) ১৬ মে ২০২৪

Latest Blog

বিজয়ী হলেন যারা ১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র'তে

বিজয়ী হলেন যারা ১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র'তে

৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২৩,৭৬৫

বিজয়ী হলেন যারা ১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্র'তে।

একজন প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনজন দ্বিতীয় পুরস্কার, একজন তৃতীয় পুরস্কার, দুইজন চতুর্থ পু...

০১ আগষ্ট ২০২৪ ১৫,২৪৮

প্রাইজবন্ড দিবস কি এবং প্রাইজবন্ডের বিশ্বজনীন ইতিহাস।

আধুনিক প্রাইজবন্ডের প্রথম ড্র যুক্তরাজ্যে ১৯৫৭ সালের ১লা জুন অনুষ্ঠিত হয়, আবার বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের...

০১ জুন ২০২৫ ২৬১

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র - ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার পুরস্কার।

৩০শে এপ্রিল ১১৯তম ড্র'তে ৮২টি সিরিজে মোট ৩,৭৭২টি পুরস্কারের জন্য বরাদ্দ ১৩ কোটি ৩২ লক্ষ ২৫ হাজার টা...

২২ এপ্রিল ২০২৫ ১,৪২৬

একজনের প্রাইজবন্ড, অন্যজনের পুরস্কার! কীভাবে সম্ভব?

আমরা এমন একসময়ে বাস করছি, যেখানে স্ক্যামিং বা প্রতারণা খুব সাধারণ ঘটনা। পৃথিবীর সব দেশেই এমন ঘটনা ঘট...

১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১,৫৭৫

বিজয়ী না হলেও ইমেইলে নোটিফিকেশন পাবেন।

আসন্ন ১১৬তম ড্র থেকে, যারা বিজয়ী হবেন না তাদেরকেও আমরা ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফাই করা হবে।

০২ জুলাই ২০২৪ ২,৩৬৬

প্রাইজবন্ড পুরস্কার কিভাবে তুলবেন? How can I claim my prize...

প্রাইজবন্ডের পুরস্কার দাবির জন্য আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদন করতে...

২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ২,৮৪১

প্রাচুর্য ডট কম এর SWOT Analysis একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ

প্রাচুর্য ডট কম একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হলেও, এটির আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। প্রাচুর্য ডট কমের শক্...

১৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১,০৯৭

ব্যাংকে থাকা প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতায় আসে?

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আপনি এবং আমার মতো সাধারণ গ্রাহক হিসেবে কল্পনা করুন। যেমন আমরা প্রাইজবন্ড কেনা...

২৬ মে ২০২৪ ২,০২৫

প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত ব্লগ সমূহ