
কেন প্রাইজবন্ড কেনা উচিত
বাংলাদেশে সরকারি পরিচালিত প্রাইজবন্ড স্কিমটি দীর্ঘদিন ধরে একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত। এটি একটি অপরিসীম সুযোগ, যেখানে আপনি ঝুঁকি ছাড়াই আকর্ষণীয় পুরস্কার জিততে পারেন। এটি সকল বয়সের মানুষের মধ্যে প্রচলিত।
আপনার কাছে অলস টাকা পড়ে আছে, এবং ব্যাংকে রেখে সুদ খেতে চাইছেন না। তাহলে এই টাকা প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ করা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হবে। প্রাইজবন্ড আপনাকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ আয় সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
প্রাইজবন্ডের বৈশিষ্ট্যগুলো আপনাকে কীভাবে উপকৃত করতে পারে?
◑ ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ: প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ করলে আপনার মূল টাকা সবসময়ই নিরাপদ থাকে। হারানোর ক্ষতির পরেও আপনি নিরাপদে আপনার নিয়ে কৃত টাকা ফিরিয়ে পাবেন। এটি অন্যান্য বিনিয়োগ সুযোগের তুলনায় অনেক কম ঝুঁকি পরিহারপূর্ণ।
◑ সম্ভাবনাময় উচ্চ রিটার্ন: লাভের দিকে প্রাইজবন্ড আপনাকে আকর্ষিত করতে পারে! বর্তমানে সর্বোচ্চ পুরস্কার লাখ টাকা। এছাড়াও, প্রতি ড্র-এ বিভিন্ন মূল্যের অনেক পুরস্কার পাওয়া যায়।
◑ নিয়মিত আয়ের সম্ভাবনা: ৩ মাস অন্তর অনুষ্ঠিত ড্র-এর মাধ্যমে আপনি নিয়মিত আয় পেতে পারেন। প্রতিটি ড্র আপনাকে জয়ের আশায় রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে, এই নিয়মিত ড্র আপনার আয়ের একটি দৃঢ় সোর্স হিসেবে প্রকাশ পায়।
আপনার বিনিয়োগের স্বাধীনতা:
◑ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুবিধা: প্রাইজবন্ডের কোনো মেয়াদ সীমা নেই। আপনি চাইলে দীর্ঘদিন ধরে এটি রাখতে পারেন এবং যখন ইচ্ছা তখন মূলধন ফেরত নিতে পারেন। আপনার বিনিয়োগের সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
◑ সহজ ক্রয় প্রক্রিয়া: প্রাইজবন্ড কেনা খুব সহজ। আপনি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক বা ডাকঘর থেকে এটি কিনতে পারেন। আপনি নিজের সুবিধামতো যেকোনো মাধ্যম বেছে নিতে পারেন।
◑ সরকারকে সহায়তা: প্রাইজবন্ড কেনার মাধ্যমে আপনি আসলে সরকারকে ঋণ দেন। এই অর্থ সরকার দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করে। সুতরাং, আপনি লাভের সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখছেন।
বিবেচ্য বিষয়:
জেতার নিশ্চয়তা নাই: প্রাইজবন্ডে জেতার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে।
ড্র ফলাফল পর্যবেক্ষণ: প্রাইজবন্ডের ড্র ফলাফল জানতে প্রাইজবন্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Latest Blog
১৯৭৪ সালে ১০ টাকা ও ৫০টাকা মানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৫ সালে ১০টাকা ও ৫০টাকার প্রাইজ...
১৭ মে ২০২৪ ২,৫২৮
একটি প্রচলিত ভুল ধারণা যে প্রতিটি ড্রয়ের পর পুরানো প্রাইজবন্ড অকার্যকর হয়ে যায় এবং নতুন প্রাইজবন্...
২১ অক্টোবর ২০২৪ ১,৫৮৯
সারাজীবন কষ্ট করে হয়ত কিছু টাকা জমিয়েছেন। কিন্তু কোথায় টাকা খাটাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। কারণ যে কো...
১৬ মে ২০২৪ ২,০৫০
১৯৯৫ সালে প্রাইজবন্ড চালু হলেও, গ্রাহকবান্ধব সংস্কারের অভাবে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। গ্রাহকদের ভোগান্ত...
২২ মে ২০২৪ ৩,০৫৩
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হলো ১১৯তম প্রাইজবন্ডের ড্র। এই ড্রয়ের সবচেয়ে আকাঙ্খিত পুরস্কার, প্...
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৫,০২৪
বাংলাদেশের প্রাইজবন্ড ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেড (এসপিসিব...
২৮ মে ২০২৪ ১,৩৫৮
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তিনি ১১৬তম ড্র'তে পেয়েছেন দ্বিতীয় পুরস্কার। মাহবুব মোরশেদ, ১১৬তম প্রাইজবন্ড ড্...
০২ আগষ্ট ২০২৪ ৮,৫৪৩
সাইফ উদ্দীন রাজা, প্রাচুর্য ডট কমে তার প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রি করার পর জানতে পারেন যে তিনি ১১৪ত...
০৩ জুন ২০২৪ ৩,৯৮৩
১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র ২রা ফেব্রুয়ারি, রবিবার, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
০২ জানুয়ারী ২০২৫ ৪২,৯২৬