
প্রাইজবন্ড কি নিরাপদ?
প্রাইজবন্ড কী?
প্রাইজবন্ড হলো সরকার বা নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি আকর্ষণীয় সঞ্চয় পদ্ধতি, যা সাধারণ সঞ্চয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত লাভের সম্ভাবনা দেয়। প্রাইজবন্ড কেনার মাধ্যমে যে কেউ ভাগ্য সহায় হলে তারা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হতে পারেন। এই পদ্ধতিতে নিয়মিত আয়োজিত পুরস্কার প্রদানের কর্মসূচির মাধ্যমে সকলেরই অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে, এবং এটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণের নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে থাকে।
মানুষ কেন প্রাইজবন্ড কেনে?
◑ প্রাইজবন্ড নিরাপদে টাকা জমানোর পাশাপাশি উত্তেজনাপূর্ণ ভাগ্যের খেলা উপভোগের সুযোগ দেয়।
◑ প্রাইজবন্ড সুদমুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ দেয়।
◑ উত্তেজনা পূর্ণ বড় পুরস্কার লাভের আশায় মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে মানুষ প্রাইজবন্ড কিনে।
প্রাইজবন্ড কি নিরাপদ?
প্রাইজবন্ড বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত সরকারি স্বীকৃতির অধীনে পরিচালিত হয়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরের পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তবে, প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ করার আগে এর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রাইজবন্ডের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১। সরকারি স্বীকৃতি
প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়, যার ফলে এই বিনিয়োগ পদ্ধতি এবং পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত থাকে। সরকারি স্বীকৃতির অধীনে পরিচালিত হওয়ায় এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে পরিচিত।
২। ঝুঁকির পরিমাণ
প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। এতে বিনিয়োগ করা অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে, যেকোনো সময় ব্যাংকে ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। এটি একটি নিরাপদ সঞ্চয় পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত, যা বাড়তি ঝুঁকি ছাড়াই বিনিয়োগ করতে মানুষকে উৎসাহিত করে।
৩। পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা কম: প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। প্রতিটি ড্রয়ের জন্য প্রচুর সংখ্যক প্রাইজবন্ড বাজারে থাকে সেই তুলনায় পুরস্কারের সংখ্যা কম।
৪। মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি: সময়ের সাথে সাথে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলেও প্রাইজবন্ডের মূল্য অপরিবর্তিত থাকে এবং এর ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। পুরস্কার পেলে ভালো, অন্যথায় মূল্যস্ফীতির কারণে ১০ বছর আগে কেনা প্রাইজবন্ড ব্যাংকে ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা পাওয়া গেলেও, ১০ বছর পরে এই টাকার প্রকৃত মূল্য একই থাকবে না।
৫। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা
প্রাইজবন্ড সাধারণত ব্যাংক বা নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরযোগ্যতা থাকা জরুরি। এজন্য অবশ্যই স্বীকৃত এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাইজবন্ড ক্রয় করা উচিত।
উপসংহার
এটি সরকারি স্বীকৃত এবং সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হয়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য। মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি ছাড়া অন্য কোন ঝুঁকি নাই প্রাইজবন্ডে।
Latest Blog
৩১শে জুলাই ২০২৪, বুধবার প্রাইজবন্ডের ১১৬তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ড্র'তে মোট আশি সিরিজের প্রাইজবন্ডে...
৩১ জুলাই ২০২৪ ২৯,৯৭৩
প্রাইজবন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক নয়। যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক নগদ টাকা দিয়...
১৪ মে ২০২৪ ২,০৯০
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাইজবন্ড উলটো করে ধরলে, যদি কেউ পূর্বে টাকা উত্তোলন করে থাকে, সেখানে একটি সিল দেওয়...
১২ অক্টোবর ২০২৪ ২,৩০৪
১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে। এই ড্রতে ৮১টি সিরিজের প্রাইজবন্ডের...
০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১,৩৪১
প্রাইজবন্ড একসময় বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প ছিল। এক দশক আগেও প্রাইজবন্ড উপহার ও পুরস...
২০ মে ২০২৪ ১,৯১২
১১৮তম প্রাইজবন্ড ড্র ২রা ফেব্রুয়ারি, রবিবার, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
০২ জানুয়ারী ২০২৫ ৫১,৭৫৪
সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস থেকে সারা বছর এবং যেকোনো সময় প্রাইজবন্ড কেনা যায়। এছাড়াও...
০৮ মে ২০২৪ ৫,০৯৬
শুধু যাদের সাথে আপনার জোড়া মিলবে তারাই আপনার ফোন নাম্বার দেখতে পাবে—অন্য কেউ দেখতে পাবে না। যদি তারা...
০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১,৯৪২
প্রাইজবন্ডের কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। ১. অনিশ্চয়তা: প্রাইজবন্ডের প্রধান নেতিবাচক দিক হলো এর অনিশ্...
১৮ মে ২০২৪ ২,৯৪৩