প্রাইজবন্ড চেকার ব্যবহার করার জন্য গাইডলাইন
প্রাচুর্য ডট কম বা প্রাইজবন্ড চেকার কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তার একটি পরিপুর্ন গাইডলাইন নিয়ে নীচে আলোচনা করা হল।
ভেরিফাইড ই-মেইল এ্যাড্রেস বলতে কি বুঝায়?
ভেরিফাইড ই-মেইল এ্যাড্রেস বলতে বুঝায় ই-মেইল এ্যাড্রেসটি সঠিক এবং ইহা আপনিই ব্যবহার করেন অন্য কেহ নয় তার প্রমাণ।
ই-মেইল এ্যাড্রেস কিভাবে ভেরিফাই করবেন How to Verify E-mail Address?
প্রাচুর্য্য.কম ওয়েব সাইটে (ইউজার নেম হিসাবে আপনার ই-মেইল/মোবাইল নং এবং পাসওয়ার্ড) দিয়ে লগইন করলে আপনার ড্যাশবোর্ডে ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফাই করার আপশন দেখাবে। Verify Now বাটনে ক্লিক করলে আপনার দেয়া ই-মেইলে একটি কোড যাবে, কোডটি কপি করে ড্যাশবোর্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে Confirm বাটনে ক্লিক করলেই ই-মেইল ভেরিফাই হয়ে যাবে।
ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে Why do E-mail Address Verification?
গ্রাহকের কোন নাম্বার বিজয়ী হলে সেই তথ্য গ্রাহককে পৌছে দেবার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাহকের সাথে আমাদের যোগাযোগ করতে হতে পারে, যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল ই-মেইল। কিন্তু সেই ই-মেইল এ্যাড্রেস যদি ভূল থাকে বা বানান ঠিক না থাকে তাহলে কোন জরুরী তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো সম্ভব হবে না। সেজন্যই ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন জরুরী। ই-মেইল ভেরিফাই অর্থ হলো আপনার দেয়া এ্যাড্রেসটি সম্পূর্ণ ঠিক আছে।
ই-মেইল ভেরিফিকেশন কোড না পাইলে নিম্নের কয়েকটি স্টেপ ফলো করুন:
- ই-মেইল এ্যাড্রেসের বানান ঠিক আছে কিনা ভালো ভাবে চেক করুন।
- জাঙ্ক ফোল্ডার চেক করুন, অনেক সময় কোন কোন ই-মেইল জাঙ্ক ফোল্ডারে চলে যেতে পারে।
- ০১ খন্টা বিরতি দিয়ে আবার ট্রাই করুন।
- অন্য কোন ই-মেইল এ্যাড্রেস ব্যাবহার করুন।
ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশনে কিভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়?
একজন গ্রাহক ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ছাড়া সর্বোচ্চ ২০টি প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রি করতে পারবে। এর পর এন্ট্রি করতে গেলে ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন না থাকলে বাধার সন্মুখীন হবে। বেশী সংখ্যক নাম্বার এন্ট্রি করা মানে বিজয়ী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, কিন্তু ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন না থাকার কারনে গ্রাহককে তার সুখবর পৌছে দেবার সূখটুকু হতে আমরা বঞ্চিত হব, সেই জন্যই এই বাধ্যবাধকতা।
বিজয়ী হবার নোটিফিকেশন কেবলমাত্র ভেরিফাইড মোবাইল ও ইমেইলে পাঠানো হয় কেন?
ভেরিফাইড মানে হলো মোবাইল নাম্বার বা ই-মেইল এ্যাড্রেসটি সঠিক এবং আপনি নিজে সেটা ব্যবহার করছেন। আমরা চাই তার খুশির খবরটি কেবলমাত্র তাকেই জানাতে, অন্য কাউকে নয়। এজন্যই এ ব্যবস্থা।
ভেরিফাইড মোবাইল নাম্বার বলতে কি বুঝায়?
ভেরিফাইড মোবাইল বলতে বুঝায় মোবাইল নাম্বারটি সঠিক এবং ইহা আপনারই নাম্বার তার প্রমাণ।
মোবাইল ফোন নাম্বার সম্পর্কিত তথ্য:
যেহেতু এই ওয়েব সাইটটি শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকের উপকার্থে তৈরী করা হয়েছে সেজন্য এখানে শুধুমাত্র ১১ ডিজিটের বাংলাদেশী ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে, অন্য কোন দেশের ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না। নাম্বারের শুরুতে +৮৮ ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই এবং এই ওয়েব সাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা প্রতিরোধ করবে।
মোবাইলে ভেরিফিকেশন কোড না পাইলে নিম্নের কয়েকটি স্টেপ ফলো করুন:
- বিরক্তিকর এস এম এস আসার জন্য আমরা অনেক সময় কিছু নাম্বার ব্লক করে রাখি। এই সব ব্লক করা নাম্বারকে আনব্লক করে নিন।
- পুনরায় ভেরিফিকেশন কোডের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান।
Security Question বা নিরাপত্তা প্রশ্ন কি এবং কেন?
পাসওয়ার্ড ভূলে গেলে রিকভারী করতে চাইলে আপনি এই এ্যাকাউন্টসের মালিক কিনা সেটা নিশ্চিত হবার জন্য আপনার দেয়া নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হবে। উত্তর সঠিক হলে পাসওয়ার্ড রিকোভারী করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ এমন প্রশ্ন সিলেক্ট করতে হবে যেন উত্তর ভূল হবার সম্ভাবনা না থাকে। যেমন পিতার নাম।
পাসওয়ার্ড ভূলে গেলে কি হবে What Happens if I Forget My Password?
Forget Password এ ক্লিক করলে আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেসে একটি লিংক যাবে। ঐ লিংকে ক্লিক করলে আপনাকে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। সেখানে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।
Smart NID নাম্বার সম্পর্কিত তথ্য:
NID নাম্বার ব্যবহারে কোন বাধ্যবাধকতা নাই, কেহ চাইলে শুধুমাত্র ১০ ডিজিটের Smart NID কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করতে পারবে, পুরাতন NID কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না এবং এই ওয়েব সাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা প্রতিরোধ করবে।
প্রোফাইল আপডেট করা সম্পর্কিত তথ্য:
২০টি’র বেশী প্রাইজবন্ড এন্ট্রি করতে হলে প্রোফাইলে কিছু তথ্য প্রদানের জন্য বাধ্যবাধকতা আছে।