বহু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর পর্ব
এই বহু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর পর্বে, আমরা যথাসাধ্য নিরপেক্ষ এবং যুক্তিযুক্ত উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হল আপনাকে সঠিক এবং সহায়ক তথ্য সরবরাহ করা, ব্যক্তিগত মতামত বা আবেগের প্রভাব ছাড়াই।
প্রাচুর্য ডট কমএর কোন অ্যাপস আছে কি?
"প্রাইজবন্ড কিনুন, প্রাচুর্য ডট কম এ এড করুন এবং ভুলে যান" - এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের স্লোগান। আমরা গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী আমাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস পরিবর্তনশীল করে যাচ্ছি। আমাদের অ্যাপস সম্পর্কে জানতে, আপনি জানুয়ারি ২০২৩ সালে আমাদের অ্যাপস স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। নিজের পরিবারে এবং বন্ধুদের সাথে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
(৩) আমার কাছে বেশ কিছু প্রাইজবন্ড আছে কিন্তু কখনো মিলিয়ে দেখা হয় নাই। এগুলোর মধ্যে কোনটি আগে পুরস্কার পেয়েছে কিনা, কিভাবে বুঝবো?
আপনার প্রাইজবন্ড নাম্বারগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে এন্ট্রি করলে, "আমি জিতেছি" ট্যাবে দেখতে পাবেন কী আপনি বিজয়ী হয়েছেন। যদি আপনার প্রাইজবন্ড নাম্বার পূর্বের ২০ বছরের মধ্যে বিজয়ী হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে সেই তথ্য প্রদান করা হবে।
(৪) আমার কাছে অনেকগুলো প্রাইজবন্ড আছে, কেন বিগত ১০ বছরে একটি প্রাইজবন্ড মিলে নি?
- আমরা জানি প্রাইজবন্ডের ড্র রেজাল্ট খোঁজা কখনও কখনও ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে। অনেকেই জানেন না তারা আসলে বিজয়ী হয়েছেন কিনা।
- আমরা [প্রাচুর্য ডট কম] এ আপনাকে সাহায্য করতে চাই। আমরা প্রাইজবন্ডের অফিসিয়াল কর্তৃপক্ষ নই, তবে আমরা আপনার পক্ষে ফলাফল পরীক্ষা করতে এবং আপনাকে জানাতে পারি।
আপনি জানেন না আপনি জিতেছেন কিনা? এখানে কেন!
- প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়, কিন্তু মাত্র ৪৬টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
- এটি জেতার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। তবে হতাশ হবেন না! ভবিষ্যতে আপনার জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার জয়ের সম্ভাবনা বাড়ান!
- আমাদের সাথে নিবন্ধন করুন! আপনার প্রাইজবন্ডের নম্বর আমাদের দিন।
- আমরা পূর্বের দুই বছরের আটটি ড্র'র ফলাফলের সাথে আপনার প্রাইজবন্ডের নম্বর মিলে গেলে আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস এবং ইমেলের মাধ্যমে জানাব।
(৫) কেহ কি কোনোদিন প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পেয়েছে?
প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ প্রাইজবন্ড কিনে থাকেন, কিন্তু কেউ কেউ ভাগ্যবান হন, আবার কেউ কেউ হতাশায় ভেঙে পড়েন। আপনার কি কখনো ভাবনা হয়েছে যে, আপনার আশেপাশেই হয়তো কেউ একজন প্রাইজবন্ডের লক্ষপতি হয়েছেন? প্রতি বছর প্রায় ১২,৩২৮ জন ভাগ্যবান বিজয়ী হন। তাদের মধ্যে হয়তো কেউ আপনারই পরিচিত, তবে আপনি তাদের সাথে কখনোই এই বিষয়ে কথা বলেননি।
আমাদের সেবা ব্যবহারকারীদের মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত প্রাইজবন্ড জিতে থাকেন। আমরা তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না, তবে কিছু বিজয়ীর মন্তব্য নীচে তুলে ধরা হল:
(৭) নতুন সিরিজের প্রাইজবন্ড কেনা ভালো হবে নাকি পুরাতন সিরিজের?
প্রাইজবন্ডের নতুন এবং পুরাতন সিরিজগুলি সবই সমান হতে পারে। তবে, পুরানো সিরিজের প্রাইজবন্ডে মোট ৮টি ড্রর ফলাফল থেকে সুযোগ পেতে হতে পারে। সাধারণভাবে ধরা যায় যে, পূর্ববর্তী বিক্রেতারা অর্থের প্রয়োজনে প্রাইজবন্ডের নাম্বারগুলো মিলিয়ে না এনেও বিক্রি করে থাকেন। (যদিও সেটা মোটেও কাম্য নয়)। কিন্তু নতুন সিরিজের ক্ষেত্রে কেবল মাত্র পরবর্তী ড্রর সাথে মিলিয়ে দেখা যাবে পুরাতন ড্রর সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নাই। এই বিষয়ে প্রাইজবন্ড জেতার উপায় পেজে আলোচনা করা আছে।
(৮) ই-মেইল অ্যাড্রেস ছাড়া আমি কি প্রাইজবন্ড নাম্বার এন্ট্রি করতে পারব?
আমাদের সার্ভিসটির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিজয়ীকে আমরা ই-মেইল করে তার বিজয়ী হওয়ার সুসংবাদ পৌঁছে দিই। আপনি যদি ই-মেইল অ্যাড্রেস না দেন তাহলে আপনি বিজয়ী হলে আমরা আপনাকে তা কীভাবে জানাব। কেহ বিজয়ী হলে আমরা তাকে ই-মেইল করে সেই সুখবর পৌঁছে দিয়ে থাকি, আপনি ই-মেইল অ্যাড্রেস না দিলে আপনার কাছে জয়ী হওয়ার খবর পৌঁছাব কি করে?
(৯) পুরস্কার পাইলে তো জানাবেন, না পাইলে কীভাবে জানাবেন না?
আমাদের সার্ভিসটি ব্যবহার করছেন অনেক মানুষ, কিন্তু পুরস্কার পাবেন কিছু সংখ্যক মানুষ। কিছু সংখ্যক মানুষকে জানানো সহজ কিন্তু অধিক সংখ্যক মানুষকে জানানো খুবই কষ্টসাধ্য ও খরচের একটা ব্যাপার আছে। যাকে জানানো হবে না, তাকে অটোমেটিক বুঝতে হবে যে তিনি পুরস্কার পান নাই।
(১২) আমি ৫ হাজার প্রাইজবন্ড কিনতে চাই, একই সিরিয়াল নাম্বারে পাওয়া যাবে কি?
এক সিরিয়ালে এতগুলো নাম্বার পাওয়া সহজ হবে না যা খুবই খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক থাকলে সম্ভব হতেও পারে।
(১৮) প্রাইজবন্ডের লটারি জিতেছেন এমন কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাইনি। আপনারা পেয়েছেন কি?
অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে প্রাইজবন্ড পুরস্কার সাধারণ মানুষ পায় না। এই ধারণাটি একেবারেই ঠিক নয়। এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য, আমাদের ওয়েবসাইটে যারা ব্যবহার করে, যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের নাম, ছবি, কততম ড্র হয়েছে এবং প্রাইজ মানির পরিমাণ প্রকাশ করেছি।
কেবল মাত্র আমাদের ওয়েবসাইটের রেজিস্টার্ড ইউজার লগইন করে এই তথ্য দেখতে পারবেন Meet with Winners ট্যাবে।
(১৯) টাকা আসল কিনা নকল চেনার যেমন কিছু মাধ্যম রয়েছে, ঠিক প্রাইজবন্ড চেনার জন্য কি কোন মাধ্যম আছে?
(২০) প্রাইজবন্ড কেনার জন্য কি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে?
না, প্রাইজবন্ড কেনার জন্য যে ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কেনা হবে সেই ব্যাংকে আপনার একাউন্ট থাকতে হবে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা থেকে প্রাইজবন্ড কেনা যায় এবং এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়। প্রাইজবন্ড কেনার সময় শুধুমাত্র নগদ টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব। তবে, প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পাওয়ার জন্য এবং তা নগদায়ন করার সময় একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকা সুবিধাজনক হতে পারে।
(২১) কৃষি ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কেনা যাবে কি?
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে সকল তফশিলি ব্যাংকে প্রাইজবন্ড পাওয়া যাবে। কৃষি ব্যাংক যেহেতু তফশিলি ব্যাংক, সেহেতু কৃষি ব্যাংকে প্রাইজবন্ড পাওয়া যাবে।
(২১) প্রাচুর্য ডট কম প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে কি না?
আমরা কোনো ধরনের প্রাইজবন্ড বিক্রয় করি না বা কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে ক্রয়ও করি না।
ভেরিফাইড ই-মেইল অ্যাড্রেস বলতে কোনটি বুঝায়?
ভেরিফাইড ই-মেইল অ্যাড্রেস বলতে বুঝায় যে ই-মেইল অ্যাড্রেসটি সঠিক এবং এটি আপনি ব্যবহার করছেন, অন্য কেউ নয়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ই-মেইল অ্যাড্রেস কীভাবে ভেরিফাই করবেন: How to Verify an E-mail Address?
প্রাচুর্য ডট কম ওয়েবসাইটে (ইউজার নেম হিসাবে আপনার ই-মেইল/মোবাইল নং এবং পাসওয়ার্ড) দিয়ে লগইন করলে আপনার ড্যাশবোর্ডে ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফাই করার অপশন দেখাবে। Verify Now বাটনে ক্লিক করলে আপনার দেওয়া ই-মেইলে একটি কোড যাবে, কোডটি কপি করে ড্যাশবোর্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে Confirm বাটনে ক্লিক করলেই ই-মেইল ভেরিফাই হয়ে যাবে।
ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন কেন প্রয়োজন? Why Verify an E-mail Address?
গ্রাহকের কোন নাম্বার বিজয়ী হলে সেই তথ্য গ্রাহককে পৌঁছে দেবার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রাহকের সাথে আমাদের যোগাযোগ করতে হতে পারে, যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল ই-মেইল। কিন্তু সেই ই-মেইল অ্যাড্রেস যদি ভুল থাকে বা বানান ঠিক না থাকে তাহলে কোন জরুরি তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সেজন্যই ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন জরুরি। ই-মেইল ভেরিফাই অর্থ হলো আপনার দেওয়া অ্যাড্রেসটি সম্পূর্ণ ঠিক আছে।
ই-মেইল ভেরিফিকেশন কোড না পাইলে নিম্নের কয়েকটি স্টেপ ফলো করুন:
- ই-মেইল অ্যাড্রেসের বানান ঠিক আছে কিনা ভালোভাবে চেক করুন।
- জাঙ্ক ফোল্ডার চেক করুন, কারণ অনেক সময় কিছু ই-মেইল জাঙ্ক ফোল্ডারে চলে যেতে পারে।
- একটু বিরতি দিয়ে আবার চেষ্টা করুন।
- অন্য কোনো ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করুন।
ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশনে কীভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়?
একজন গ্রাহক ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ছাড়া সর্বোচ্চ ২০টি প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রি করতে পারবে। এরপর এন্ট্রি করতে গেলে ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন না থাকলে বাধার সম্মুখীন হবে। বেশী সংখ্যক নাম্বার এন্ট্রি করা মানে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, কিন্তু ই-মেইল অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন না থাকার কারণে গ্রাহককে তার সুখবর পৌঁছে দেবার সুখটুকু হতে আমরা বঞ্চিত হব, সেই জন্যই এই বাধ্যবাধকতা।
বিজয়ী হওয়ার নোটিফিকেশন কেবল মাত্র ভেরিফাইড মোবাইল এবং ই-মেইলে পাঠানো হয় কেন?
ভেরিফাইড মানে হলো মোবাইল নাম্বার বা ই-মেইল অ্যাড্রেসটি সঠিক এবং আপনি নিজে সেটা ব্যবহার করছেন। আমরা চাই তার খুশির খবর কেবল মাত্র তাকেই জানাতে, অন্য কাউকে নয়। এজন্যই এ ব্যবস্থা।
ভেরিফাইড মোবাইল নাম্বার বলতে কি বুঝায়?
ভেরিফাইড মোবাইল বলতে কী বোঝায়: সঠিক এবং আপনার নাম্বার প্রমাণিত।
মোবাইল ফোন নাম্বার সম্পর্কিত তথ্য:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি শুধু মাত্র বাংলাদেশি নাগরিকের উপকারার্থে তৈরি করা হয়েছে সেজন্য এখানে শুধু মাত্র ১১ ডিজিটের বাংলাদেশি ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে, অন্য কোন দেশের ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না। নম্বরের শুরুতে +৮৮ ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই এবং এই ওয়েবসাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা প্রতিরোধ করবে।
যদি মোবাইলে ভেরিফিকেশন কোড পাওয়া না যায়, তবে নিম্নের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন:
- বিরক্তিকর এস এম এস আসবার জন্য আমরা অনেক সময় কিছু নাম্বার ব্লক করে রাখি। এই সব ব্লক করা নাম্বারকে আনব্লক করে নিন।
- পুনরায় ভেরিফিকেশন কোডের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান।
Security Question বা নিরাপত্তা প্রশ্ন কি এবং কেন?
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিকভারী করতে চাইলে আপনি এই অ্যাকাউন্টের মালিক কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার দেওয়া নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হবে। উত্তর সঠিক হলে পাসওয়ার্ড রিকোভারী করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ এমন প্রশ্ন সিলেক্ট করতে হবে যেন উত্তর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। যেমন পিতার নাম।
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি হবে What Happens if I Forget My Password?
Forget Password এ ক্লিক করলে আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেসে একটি লিংক যাবে। ঐ লিংকে ক্লিক করলে আপনাকে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। সেখানে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।
Smart NID নাম্বার সম্পর্কিত তথ্য:
NID নাম্বার ব্যবহারে কোন বাধ্যবাধকতা নাই, কেহ চাইলে শুধু মাত্র ১০ ডিজিটের Smart NID কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করতে পারবে, পুরাতন NID কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না এবং এই ওয়েব সাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা প্রতিরোধ করবে।