প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা

প্রাচুর্য ডট কম ব্যবহার করার জন্য গাইড লাইন

prize bond
ভেরিফাইড ই-মেইল এ্যাড্রেস বলতে বুঝায় ই-মেইল এ্যাড্রেসটি সঠিক এবং ইহা আপনিই ব্যবহার করছেন, অন্য কেহ নয় তার প্রমাণ।
প্রাচুর্য ডট কম এর ওয়েব সাইটে (ইউজার নেম হিসাবে আপনার ই-মেইল/মোবাইল নং এবং পাসওয়ার্ড) দিয়ে লগইন করলে আপনার ড্যাশবোর্ডে ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফাই করার আপশন দেখাবে। Verify Now বাটনে ক্লিক করলে আপনার দেয়া ই-মেইলে একটি কোড যাবে, কোডটি কপি করে ড্যাশবোর্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে Confirm বাটনে ক্লিক করলেই ই-মেইল ভেরিফাই হয়ে যাবে।
গ্রাহকের কোন নাম্বার বিজয়ী হলে সেই তথ্য গ্রাহককে পৌছে দেবার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাহকের সাথে আমাদের যোগাযোগ করতে হতে পারে। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল ই-মেইল। কিন্তু সেই ই-মেইল এ্যাড্রেস যদি ভূল থাকে বা বানান ঠিক না থাকে তাহলে কোন জরুরী তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো সম্ভব হবে না। সেজন্যই ই-মেইল এ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন জরুরী। ই-মেইল ভেরিফাই অর্থ হলো আপনার দেয়া এ্যাড্রেসটি সম্পূর্ণ ঠিক আছে।
ই-মেইল ভেরিফিকেশন কোড না পাইলে নিম্নের কয়েকটি স্টেপ ফলো করুন:

(১) ই-মেইল এ্যাড্রেসের বানান ঠিক আছে কিনা ভালো ভাবে চেক করুন।
(২) জাঙ্ক ফোল্ডার চেক করুন, অনেক সময় কোন কোন ই-মেইল জাঙ্ক ফোল্ডারে চলে যেতে পারে।
(৩) ভিন্ন কোন ই-মেইল এ্যাড্রেস ব্যবহার করুন।

প্রাচুর্য ডট কম এই ওয়েব সাইটে লগইন করলে মাই ড্যাশবোর্ডে Add Prize Bond বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে প্রাইজবন্ড এন্ট্রি ফরম ওপেন হবে। এখানে একটি একটি করে অথবা নাম্বারগুলি সিরিয়ালে থাকলে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১০০টি নাম্বার এন্ট্রি করা যাবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই ইংরেজি অক্ষরে প্রাইজবন্ডের নাম্বার বসাতে হবে।
  • সিঙ্গেল নাম্বার এন্ট্রিঃ প্রাইজবন্ডের নাম্বার গুলি যদি এক সিরিয়ালে না থাকে তখন এই অপশন ব্যবহার করতে হয়।
  • মাল্টিপল নাম্বার এন্ট্রিঃ প্রাইজবন্ডের নাম্বার গুলি যদি সিরিয়ালে থাকে তখন এই অপশন ব্যবহার করতে হয়।
প্রাইজবন্ডের নাম্বার ডিলিট করা খুবই সহজ
প্রাইজবন্ডের নাম্বার ডিলিট করার জন্য মাই ড্যাশ বোর্ডে "Prize Bonds" ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। সেখানে প্রাইজবন্ডের বামে চেক বক্সে টিক মার্ক দিয়ে "Delete" বাটনে ক্লিক করতে হবে।
উল্লেখ্য যে Non Subscriber ইউজার প্রাইজবন্ডের নাম্বার ডিলিট করতে পারবেন না।
প্রোফাইল আপডেট কত পার্সেন্ট পূরুণ থাকা জরুরী? আমাদের সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য বা বেশী সংখ্যক প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রি করার জন্য কিছু নীতিমাল বা রেগুলেশান আছে, যেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলঃ
(১) রেজিষ্ট্রেশন করলেই বা ৩৬% প্রোফাইল পূরুণ থাকলে ২০টি প্রাইজবন্ড এন্ট্রি করা যাবে।
(২) ২৩টি’র বেশী এন্ট্রি করতে চাইলে Home District বা নিজ জেলার নাম লেখা থাকতে হবে।
(৩) ২৬টি’র বেশী এন্ট্রি করতে চাইলে জন্ম তারিখ লেখা থাকতে হবে।
(৪) ২৯টি’র বেশী এন্ট্রি করতে চাইলে জেন্ডার অপশন পূরুণ থাকতে হবে।
(৫) বর্তমানে মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার পরই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়।
(৬) জানুয়ারি ২০২৩ এর পূর্বে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা ৩২টি’র বেশী এন্ট্রি করতে চাইলে মোবাইল ফোন নাম্বার ভেরিফাই করতে হবে।
ভেরিফাইড মোবাইল নাম্বার বলতে বুঝায়, মোবাইল নাম্বারটি সঠিক এবং ইহা আপনিই ব্যবহার করছেন, অন্য কেহ নয় ইহা তার প্রমাণ।
বিরক্তিকর এস এম এস আসার জন্য আমরা অনেক সময় কিছু নাম্বার ব্লক করে রাখি।
  • মোবাইলে যদি কোন নাম্বার ব্লক থাকে, সেগুলোকে আনব্লক করে নিন।
  • ভিন্ন কোন মোবাইল বা ল্যাপ্টপ থেকে ট্রাই করুন।
  • মোবাইলের ব্রাউজিং হিস্টরী ডিলিট করুন।
  • পুনরায় ভেরিফিকেশন কোডের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান।
পাসওয়ার্ড ভূলে গেলে রিকভারী করতে চাইলে আপনি এই এ্যাকাউন্টসের মালিক কিনা সেটা নিশ্চিত হবার জন্য আপনার দেয়া নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হবে। উত্তর সঠিক হলে পাসওয়ার্ড রিকোভারী করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ এমন প্রশ্ন সিলেক্ট করতে হবে যেন উত্তর ভূল হবার সম্ভাবনা না থাকে। যেমন পিতার নাম।
Forgot Password এ ক্লিক করলে আপনার ফোনে একটি কোড যাবে। এই কোড নিদিস্ট স্থানে বসিয়ে কোডটি ভেরিফাই করে, নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।
যেহেতু এই ওয়েব সাইটটি শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকের উপকার্থে তৈরী করা হয়েছে। সেজন্য রেজিস্টেশন করার সময় শুধুমাত্র ১১ ডিজিটের বাংলাদেশী ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোন দেশের ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না। নাম্বারের শুরুতে +৮৮ ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই, এই ওয়েব সাইটে বাই ডিফল্ট +৮৮ সংযুক্ত করে দেয়া আছে।
সরকারি গেজেট অনুযায়ী যেসব অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় সেগুলো হল:
১। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়।
২। সরকারী বেসরকারী সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। তবে ইসলামী শরিয়াভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক সমূহে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় না।
৩। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়।
৪। এবং পোস্ট অফিসে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়।
তবে সব সময় সব ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড নাও পাওয়া যেতে পারে।
  • আপনি যদি অল্প সংখ্যক যেমন ১০০/২০০ বা ৫০০টি প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে চান এবং আপনার নিকটস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন শাখা না থাকে, তাহলে আপনাকে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঘুড়ে ঘুড়ে, একটু কষ্ট সহ্য করে প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে হবে।
  • আপনি যদি বেশী অল্প সংখ্যক যেমন ১০০০/২০০০ বা ৫০০০টি প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে চান, তাহলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঘুড়ে ঘুড়ে প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করা, অনেক কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ্য কাজ।
  • তাহলে সমাধান কি? প্রোব্লেম যত বড়ই হোক না কেন, সমাধান কিন্তু ছোটই থাকে, সেজন্য কৌশল জানতে হয়।
    সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস আছে, এই সব অফিস থেকে সারা বছর এবং সব সময় যেকোন পরিমানের প্রাইজবন্ড কেনা যায়।
    প্রাইজবন্ড লটারির মতো হলেও কিন্তু লটারি না। লটারির ক্ষেত্রে একবার ”ড্র” হয়ে গেলে ঐটার মেয়াদ চলে যায় এবং টিকেটের মূল্যও থাকেনা। লটারিতে জয়ী না হলে পুরো টাকাটাই লস। এদিকে প্রাইজবন্ড এর ”ড্র” হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয়না। পরবর্তী ”ড্র” এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের মেয়াদ শেষ হয়না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ”ড্র” হওয়ার পরও, চাইলে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে আবার টাকা নিয়ে আসা যায়।
    আমাদের সার্ভিস চার্জ এককালীন। প্রতি বছর কোন প্রকার রিনিউ করার প্রয়োজন নাই। সুতরাং প্রাইজবন্ড এন্ট্রি করার পর সবকিছু ভুলে যান, প্রয়োজনে আমরা আপনাকে স্মরন করে দিবো। থাকুন টেনশন ফ্রী।
    প্যাকেজ আপগ্রেড সিস্টেম হলো ছোট একটা প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করা থাকলে পরবর্তীতে বড় প্যাকেজে কনভার্ট করা। প্যাকেজ আপগ্রেড করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন প্যাকেজের মূল্য থেকে পূর্ববর্তী প্যাকেজের মূল্য বাদ দিয়ে সমন্বয় করা হয়।
    উদাহরনঃ আপনি প্রথমে ১৩০ টাকায় অতি সাধারণ প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করেছেন, আরো নতুন কিছু প্রাইজবন্ড ক্রয় করাতে অতি সাধারন প্যাকেজের লিমিট পার হয়ে যাচ্ছে। তখন ৩৫০ টাকার ব্রোঞ্জ কেনার সিন্ধান্ত নিলেন। প্যাকেজ আপগ্রেড সিস্টেম এখানেই কাজ করবে। প্যাকেজ আপগ্রেড অপশনে গিয়ে (৩৫০-১৩০) = ২২০ টাকা পেমেন্ট করলেই, আপনার অতি সাধারণ প্যাকেজটি ব্রোঞ্জ প্যাকেজে কনভার্ট হয়ে যাবে।
    হ্যাঁ। আমাদের মোবাইল অ্যাপস আছে। খুব রিসেন্টলি জানুয়ারী ২০২৩ সালে পাবলিশ করা হয়েছে। Only Android Version Available. গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Prachurja.com বা Prachurja নামে সার্চ দিলে চলে আসবে। , আমাদের মোবাইল অ্যাপসের লিঙ্ক
    সর্ব সাধারণের জন্য আমাদের বেসিক সার্ভিসের আওতায় ৫টি প্রাইজবন্ড ফ্রী'তে এন্ট্রি করা যায়। ৫টির বেশী হলে সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হয়। এখন কথা হল কোন প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করার পর ফ্রী প্যাকেজটির কি হয়?
    কোন একটি প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করার পর ফ্রী প্যাকেজের আর অস্তিত্ব থাকে না। অর্থাৎ প্যাকেজ ডিজাইন করার সময় ফ্রী প্যাকেজের ৫টি বিভিন্ন প্যাকেজের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
    উদাহরণ সব্রুপঃ
    মিনি প্যাকেজঃ(৫+১০)=১৫টি
    অতি সাধারণ প্যাকেজঃ(৫+৩০)=৩৫টি
    সাধারণ প্যাকেজঃ(৫+৫৫)=৬০টি
    ব্রোঞ্জ প্যাকেজঃ (৫+৯৫)=১০০টি

    প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা তথ্য সম্ভার

    A plenty of information about prize bond

    প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা সব খুটিনাটি বিষয় প্রশ্ন উত্তর আকারে নীচে আলোচনা করা হলঃ

  • বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড কখন চালু হয়?
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইজবন্ড সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে। প্রথম চালুকৃত প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা। ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর থেকে ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড তুলে নেওয়া হয়।

  • ”ড্র” অনুষ্ঠানের কত ‍দিন পর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করা যায়?
  • বন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পর প্রাইজবন্ড ড্র'র আওতায় আসে। ”ড্র” অনুষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকার জন্য আবেদন করা যায়। এই সময়ের মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের টাকা তামাদি (বিলুপ্ত বা অচল) হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। প্রায় ৫০% বিজয়ী পুরস্কারের জন্য আবেদন করে না শুধুমাত্র আসচেতনাতার আভাবে।

  • প্রাইজবন্ড ড্র 'র ফলাফল কোথায় পাওয়া যায়?
  • ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড ড্র'র এর ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে "https://www.bb.org.bd/investfacility/prizebond/pbsearch.php" । ড্র” অনুষ্ঠিত হবার পরে আমাদের ওয়েব সাইটেও ফলাফল পাওয়া যায়।

  • বাংলাদেশে কত ধরনের প্রাইজবন্ড চালু আছে?
  • ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই ২৬ বছর ধরে শুধুমাত্র ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু আছে।

  • কি পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়?
  • প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর বা একক সাধারণ পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রাইজবন্ড ড্র কোন মাসে হয় পেজে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।

  • প্রাইজবন্ডের রশিদ বলতে কি বুঝায়?
  • প্রাইজবন্ডের রশিদ ইহা আলাদা কোন কাশ মেমো বা ভাউচার নয়। প্রাইজবন্ডের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সিল দেয়া থাকে তাকেই প্রাইজবন্ডের রশিদ বলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিল না থাকলে সেই প্রাইজবন্ড কখনো পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।

  • প্রাইজবন্ড কোথায় ছাপানো হয়? Where the Prize Bond is Printed?
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) গাজীপুরে অবস্থিত কারখানা থেকে প্রাইজবন্ড ছাপানো হয়।

  • দুই বছরের মধ্যে কেহ কোন বিজয়ী নাম্বার পুরস্কার দাবী না করলে এই নাম্বারটি কি পরবর্তীতে পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারে?
  • যে নাম্বারটি একবার পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়, সেই নাম্বারের পুরস্কারের আবেদন করার জন্য ২ বছর পর্যন্ত সময় থাকে। এই দুই বছর নাম্বারটি ইন-এ্যাকটিভ বা লক করা থাকে। এই দুই বছরের মধ্যে নতুন যেসব সিরিজ আছে, সেই সিরিজেরও এই নাম্বার লক করা থাকে। দুই বছর পার হলে নাম্বারগুলো আবার এক্টিভ হয় এবং ড্র'র তালিকাইয় চলে আসে। অর্থাৎ বিজয়ী নাম্বার আবারো কোন সময় বিজয়ী হতে পারে।

  • ব্যাংকে যেগুলো রির্টান করার হয়, সেগুলো কি ড্র এর আওতাভুক্ত?
  • বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেগুলি একবার বিক্রি হবে সেগুলো ড্র‘র আওতাভুক্ত। আমি আপনি কেনার পর আবার কোন ব্যাংকে রিটার্ন করলে সেগুলি ড্র এর আওতাভুক্ত। সেখান থেকে কোন নাম্বার বিজয়ী হলে ব্যাংক কতৃপক্ষ তার দাবীদার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।

  • পুরাতন ”ড্র” রেজাল্ট কোথায় পাওয়া যাবে?
  • দুই বছরের বেশী পুরাতন ”ড্র” রেজাল্ট আমাদের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।

  • সরকারের কোন সংস্থার মাধ্যমে প্রাইজবন্ডের কার্যক্রম পরিচালিত হয়?
  • Prize Bond "জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর" পণ্য হলেও পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • প্রাইজবন্ডের মালিক কে?
  • Prize Bond হস্তান্তর যোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ড এর ধারকই বণ্ডের মালিক। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রয় হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।

  • What bond is eligible for draw?
  • Only that Prize Bond whose date of issuance is at least 60 days prior to the draw date is eligible for draw.

  • পুরস্কারের অর্থ কি নগদ দেয়া হয়?
  • পুরস্কারের অর্থ নগদ পরিশোধ করা হয় না, প্রাপকের ব্যাংক হিসাব নাম্বারে পে অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হয়।

  • ছেঁড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড কি বদল বা ভাঙ্গানো যায়?
  • বর্তমানে ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০টাকা মুল্যমানের ছেঁড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন অফিসে জমা দেয়া যায়। বিনিময় যোগ্য হলে বন্ডে মূল্যমান অনুযায়ী বিনিময় মুল্যে নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়।

  • প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগ করলে কি কর রেয়াত পাওয়া যায়?
  • প্রাইজবন্ড ক্রয় করলে কোন ধরনের বিনিয়োগ কর রেয়াত বা সুদ/ লভ্যাংশ পাওয়া যায় না। আয়কর আইন, ষষ্ঠ সিডিউল, পার্ট বি, ২৮ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড বিনিয়োগে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যেহেতু প্রাইজবন্ড ট্রেজারী বন্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু প্রাইজবন্ড ক্রয়, বিনিয়োগ কররেয়াতযোগ্য নয়। সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশে ব্যাংকে নিবন্ধিত Primary Dealers (PD) নিলামের মাধ্যমে কিনতে পারে।


  • বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড কখন চালু হয়?
  • বাংলাদেশে কত ধরনের প্রাইজবন্ড চালু আছে?
  • প্রাইজবন্ড পুরস্কার কি সবাই পায়?
  • সব সময়, সব ব্যাংকে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় না কেন?
  • অবিক্রিত প্রাইজবন্ড কি ড্র’র আওতায় আসে?
  • পুরাতন সিরিজের প্রাইজবন্ড কেনা ভাল হবে নাকি নতুন সিরিজের?
  • প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত যত আলোচনা