প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা তথ্য সম্ভার
A plenty of information about prize bond
প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা সব খুটিনাটি বিষয় প্রশ্ন উত্তর আকারে নীচে আলোচনা করা হলঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইজবন্ড সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে। প্রথম চালুকৃত প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা। ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর থেকে ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড তুলে নেওয়া হয়।
বন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পর প্রাইজবন্ড ড্র'র আওতায় আসে। ”ড্র” অনুষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকার জন্য আবেদন করা যায়। এই সময়ের মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের টাকা তামাদি (বিলুপ্ত বা অচল) হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। প্রায় ৫০% বিজয়ী পুরস্কারের জন্য আবেদন করে না শুধুমাত্র আসচেতনাতার আভাবে।
১০০ টাকার প্রাইজবন্ড ড্র'র এর ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে "https://www.bb.org.bd/investfacility/prizebond/pbsearch.php" । ড্র” অনুষ্ঠিত হবার পরে আমাদের ওয়েব সাইটেও ফলাফল পাওয়া যায়।
ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই ২৬ বছর ধরে শুধুমাত্র ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু আছে।
প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর বা একক সাধারণ পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রাইজবন্ড ড্র কোন মাসে হয় পেজে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
প্রাইজবন্ডের রশিদ ইহা আলাদা কোন কাশ মেমো বা ভাউচার নয়। প্রাইজবন্ডের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সিল দেয়া থাকে তাকেই প্রাইজবন্ডের রশিদ বলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিল না থাকলে সেই প্রাইজবন্ড কখনো পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) গাজীপুরে অবস্থিত কারখানা থেকে প্রাইজবন্ড ছাপানো হয়।
যে নাম্বারটি একবার পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়, সেই নাম্বারের পুরস্কারের আবেদন করার জন্য ২ বছর পর্যন্ত সময় থাকে। এই দুই বছর নাম্বারটি ইন-এ্যাকটিভ বা লক করা থাকে। এই দুই বছরের মধ্যে নতুন যেসব সিরিজ আছে, সেই সিরিজেরও এই নাম্বার লক করা থাকে। দুই বছর পার হলে নাম্বারগুলো আবার এক্টিভ হয় এবং ড্র'র তালিকাইয় চলে আসে। অর্থাৎ বিজয়ী নাম্বার আবারো কোন সময় বিজয়ী হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেগুলি একবার বিক্রি হবে সেগুলো ড্র‘র আওতাভুক্ত। আমি আপনি কেনার পর আবার কোন ব্যাংকে রিটার্ন করলে সেগুলি ড্র এর আওতাভুক্ত। সেখান থেকে কোন নাম্বার বিজয়ী হলে ব্যাংক কতৃপক্ষ তার দাবীদার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।
দুই বছরের বেশী পুরাতন ”ড্র” রেজাল্ট আমাদের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।
Prize Bond "জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর" পণ্য হলেও পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Prize Bond হস্তান্তর যোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ড এর ধারকই বণ্ডের মালিক। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রয় হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।
Only that Prize Bond whose date of issuance is at least 60 days prior to the draw date is eligible for draw.
পুরস্কারের অর্থ নগদ পরিশোধ করা হয় না, প্রাপকের ব্যাংক হিসাব নাম্বারে পে অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হয়।
বর্তমানে ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০টাকা মুল্যমানের ছেঁড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন অফিসে জমা দেয়া যায়। বিনিময় যোগ্য হলে বন্ডে মূল্যমান অনুযায়ী বিনিময় মুল্যে নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়।
প্রাইজবন্ড ক্রয় করলে কোন ধরনের বিনিয়োগ কর রেয়াত বা সুদ/ লভ্যাংশ পাওয়া যায় না। আয়কর আইন, ষষ্ঠ সিডিউল, পার্ট বি, ২৮ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড বিনিয়োগে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যেহেতু প্রাইজবন্ড ট্রেজারী বন্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু প্রাইজবন্ড ক্রয়, বিনিয়োগ কররেয়াতযোগ্য নয়। সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশে ব্যাংকে নিবন্ধিত Primary Dealers (PD) নিলামের মাধ্যমে কিনতে পারে।