প্রাইজবন্ড পুরস্কারের টাকার পরিমান
প্রাইজবন্ড পুরস্কারের মূল্যমান কতঃ
১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড চালু হবার পর থেকে এর পুরস্কারের মূল্যমান অপরিবর্তিত রয়েছে। সিরিজ প্রতি পুরস্কারের মূল্যমান সমান অর্থাৎ প্রতি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার রয়েছে, যার মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
- প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা
- দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা
- তৃতীয় পুরস্কার দুইটি ১ লাখ টাকা প্রতিটি
- চতুর্থ পুরস্কার দুইটি ৫০ হাজার টাকা প্রতিটি এবং
- পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা প্রতিটি
নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেশে ৭৫টি সিরিজ চালু আছে । প্রতিবার ”ড্র” জন্য ৭৫ টি সিরিজের জন্য সরকার মোট (১৬,২৫,০০০ x ৭৫)=১২ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কারের জন্য বরাদ্ধ রাখে।
প্রাইজবন্ডে বাৎসরিক পুরস্কারের পরিমান কত?
- সরকার ২০২২ সালে মোট ৪টি ড্র'র জন্য পুরস্কার দিয়েছে ৪৪,৫২,৫০,০০০ টাকা।
- সরকার ২০২১ সালে মোট ৪টি ড্র'র জন্য পুরস্কার দিয়েছে ৪১,৭৬,২৫,০০০ টাকা।
- সরকার ২০২০ সালে মোট ৪টি ড্র'র জন্য পুরস্কার দিয়েছে ৩৯,৩২,৫০,০০০ টাকা।
- সরকার ২০১৯ সালে মোট ৪টি ড্র'র জন্য পুরস্কার দিয়েছে ৩৬,০৭,৫০,০০০ টাকা।
সরকার কি প্রাইজবন্ডে কোন সুদ বা লভ্যাংশ দেয়?
সরকার প্রাইজবন্ডের উপড় সরাসরি কোন সুদ/ লভ্যাংশ বা কর রেয়াত দেয় না। এটি মুলত সরকারের প্রতি জনগণের একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ। তাই প্রাইজবন্ডকে সুদ মুক্ত জাতীয় বন্ড বলা হয়। তবে লভ্যাংশের টাকা বিজয়ীদেরকে পুরস্কার হিসাবে দেয়। প্রতিটি সিরিজের জন্য ড্র’ প্রতি ১৬,২৫,০০০/= (ষোল লাখ পঁচিশ হাজার টাকা) এবং বছরে ৬৫,০০,০০০/=(পঁয়ষট্টি লাখ টাকা) পুরস্কার হিসাবে দেয়া হয়।
প্রতিটি সিরিজে মোট প্রাইজবন্ডের সংখ্যা ১০,০০,০০০/= (দশ লাখ) পিছ, যার বাজার মূল্য ১০,০০,০০,০০০/= (দশ কোটি টাকা)। ১০ কোটি টাকায় বছরে ৬৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দিলে সুদের হার দাড়ায় ৬.৫%, অর্থাৎ সরকার প্রাইজবন্ডে পরোক্ষভাবে ৬.৫% হারে লভ্যাংশ প্রদান করে।
প্রাইজবন্ড পুরস্কারের উপড় আয়করঃ
জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে এর মুনাফার ওপর ২০ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করে সরকার।