প্রাইজবন্ড কেনার উপযুক্ত সময়
প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয় বছরে ৪ বার। এই ড্র অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে যেকোন সময় প্রাইজবন্ড কেনা যায়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেজেটে বলা আছে “বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে নুন্যতম ০২ (দুই) মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ড ড্র’র আওতায় আসবে”।

মোটা দাগে বলতে গেলে কেনাবেচার প্রকারভেদে প্রাইজবন্ড দুই প্রকার (১) পুরাতন প্রাইজবন্ড এবং নতুন প্রাইজবন্ড।
✅বাংলাদেশ ব্যাংক বাদে অন্য সকল বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সাধারনত পুরাতন প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ কেহ প্রাইজবন্ড কেনার পর, কিছুদিন বাদে ব্যংকে বিক্রয় করে দেয়। ব্যাংক সমূহ পূনরায় সেই প্রাইজবন্ড অন্য কোন গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করে। বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহ যে প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে সেইগুলোর গায়ে যে তারিখ লেখা থাকে, সেই তারিখ সাধারনত বেশ কিছুদিন আগের হয়ে থাকে।
✅অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে থাকে, অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের গায়ে কেনার দিনের তারিখ লেখা থাকে।
আবার আসি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যাজেটের কথায় “বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে নুন্যতম ০২ (দুই) মাস”। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করছি, আপনি কবে প্রাইজবন্ড কিনেছেন “ড্র’র ক্ষেত্রে” সেইটা ম্যাটার করবে না, প্রাইজবন্ডের গায়ে যে তারিখ লেখা থাকে সেইটাই হল মূখ্য বিষয়। সেই তারিখ হতে দুই মাস অতিক্রম হতে হবে।

একটি উদাহরনের মাধ্যমে পরিস্কার করার চেষ্টা করছি। গফ ০৭১৩০৪৬ নাম্বারটি ১০৯তম ড্র’তে ৫ম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিল। প্রাইজবন্ডটি বিক্রয় হয়েছে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে এবং ১০৯ তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে। প্রাইজবন্ড এবং ড্র অনুষ্ঠানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হল ১ মাস ২৪ দিন। দুই মাস পুর্ণ না হবার করনে ফাইনালি এই প্রাইজবন্ডটি পুরস্কার পাবে না।
এই বিশ্লেষণের সারকথা হলঃ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কিনলে আপনাকে ড্র’র জন্য দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।
বানিজ্যিক ব্যাংক থেকে পুরাতন প্রাইজবন্ড কিনলে দুই মাস অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।
✅সর্বশেষ এই লেখার মাধ্যমে সরকারের কাছে আমরা একটি আবেদন রেখে যেতে চাই যে “দুই মাস পুর্ণ হবার ব্যধ্যবাদকতা যেন উঠিয়ে দেয়া হয়”।