আসলেই কি তাই?
এই বিষয়টি পরিস্কারভাবে বুঝার জন্য প্রথমেই আসি ড্র কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়?

ঢাকা জেলার বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক (২) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা (৩) জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক (৩) বিপুল পরিমানে সংবাদ কর্মী ও সাধারণ জনগন উপস্থিত থাকে।
একেকটি পুরস্কারের ৬টি নাম্বারের জন্য ৬ বার ড্রাম ঘুড়িয়ে গুটি উত্তোলন করা হয়। প্রাইজবন্ডের ড্র যেহেতু একক সাধারণ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় সেহেতু প্রতি সিরিজের ৪৬টি নাম্বারের জন্য ২৭৬ বার ড্রাম ঘুড়িয়ে গুটি উত্তোলন করা হয়।
এখন পর্যন্ত প্রাইজবন্ডের যতগুলো ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কোনটিতেই অনিয়মের কোন ঘটনা ঘটে নাই। তবে, বাজারে একটি কথা প্রচলিত আছে, শুধুমাত্র ব্যাংকের লোকেরাই প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পায়। কথাটি কতটুকু সত্য, আসুন আমরা একটু ডিপ ডাউন আলোচনা করি।
প্রাইজবন্ড হল টাকার মতো, এর বাহকই এর ধারক, অর্থাৎ প্রাইজবন্ড যার কাছে থাকবে, তিনিই এর পুরস্কারের দাবীদার হবেন। প্রাইজবন্ড কেনার জন্য সরকার কারো উপর কোন প্রকার বিধি নিষেধ আরোপ করে না, যে কেহ নগদ টাকার বিনিময়ে প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন।
প্রমানীত সত্য যে যার কাছে যতবেশী প্রাইজবন্ড থাকবে, তার পুরস্কার পাবার সম্ভবনা ততবেশী। আগেই বলেছি, ড্র অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ঘটে না, তাই ব্যাংকের লোকেরা বেশী বেশী পুরস্কার পায়, এই কথাটি একেবারেই অসত্য। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।