প্রাইজবন্ড শরিয়ত সম্মত কি না?
প্রাইজবন্ড কতটুকু হালাল?
প্রাইজবন্ড অনেকটা লটারির মতো হলেও, এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে যার ফলে এটি লটারির মতো হারাম নয়।
লটারি এবং প্রাইজবন্ডের মধ্যে পার্থক্য:
লটারি:
• একবার ড্র হয়ে গেলে লটারির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
• লটারি জিততে না পারলে পুরো টাকাটাই লস হয়।
• লটারিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি।
• ইসলামে লটারিকে জুয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি হারাম।
প্রাইজবন্ড:
• ড্র হয়ে গেলেও প্রাইজবন্ডের মেয়াদ শেষ হয় না।
• প্রাইজবন্ড জিততে না পারলেও টাকার মূল্য হারিয়ে যায় না।
• প্রাইজবন্ডে ঝুঁকির পরিমাণ লটারির তুলনায় কম।
• ইসলামে প্রাইজবন্ডকে হারাম বলে বিবেচনা করা হয় না।
প্রাইজবন্ড হারাম নয় বলে মনে করার কিছু কারণ:
• প্রাইজবন্ডে অংশগ্রহণকারীরা তাদের টাকার বিনিময়ে একটি পণ্য (প্রাইজবন্ড) কিনছেন।
• লটারির মতো, ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে টাকা জেতার চেষ্টা করার পরিবর্তে, প্রাইজবন্ডে টাকা জেতার জন্য ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হয়।
• প্রাইজবন্ডের মাধ্যমে সরকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে।
তবে, প্রাইজবন্ডের কিছু ঝুঁকিও রয়েছে:
• প্রাইজবন্ড জেতার সম্ভাবনা কম।
• মূল্যস্ফীতির কারণে প্রাইজবন্ডের মূল্য একই থাকলেও এর ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। বিনিয়োগকারীদের এই ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত
অবশেষে, প্রাইজবন্ডে অংশগ্রহণ করা হবে কিনা তা ব্যক্তির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য সুবিধাগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।