প্রাইজবন্ড সব সময়, সকল ব্যাংকে পাওয়া যায় না কেন?
সকল ব্যাংকেই কি প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়?
উত্তর হল না, তবে কিছু কিছু সময় পাওয়া যায়। প্রাইজবন্ডের লাখো লাখো মানুষের আকর্ষন থাকলেও, সব সময় সব ব্যাংকেই এটি পাওয়া যায় না। কেন? তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক-
- ব্যাংকের লাভের গল্প: যেহেতু এই সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, সেহেতু সকল কাজ কর্মেই তাদের প্রোফিট করার উদ্দেশ্য থাকে। প্রাইজবন্ড কেনাবেচায় ব্যাংকের কোন লাভ নেই। প্রতিটি প্রাইজবন্ড ১০০ টাকায় কিনে ১০০ টাকায়ই বিক্রি করতে হয়। এছাড়াও, কর্মীদের বেতন, লেজার মেইন্টেনেন্স, এবং লকারে রাখার খরচও আছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকের লাভের চেয়ে খরচ বেশি হয়ে যায়।
- অলস পড়ে থাকা টাকা: ব্যাংকের ব্যবসা হলো টাকা গতিশীল রাখা, ঋণ দেওয়া ও বিনিয়োগ করা। প্রাইজবন্ড কিনে রাখা মানে কিছু টাকা বাজারে ঢালা না গিয়ে অলস অবস্থায় রাখা। এতে ব্যাংকের মুনাফা কমে যায়।
- সব সময় সমান চাহিদা না থাকা: সব সময় প্রচুর পরিমাণে প্রাইজবন্ডের চাহিদা থাকে না। ফলে, ঝুঁকি নিয়ে বেশি প্রাইজবন্ড মজুত রাখতে চায় না ব্যাংকগুলো।
- কেবল মাত্র “বাংলাদেশ ব্যাংকের” চাপে খুব সীমিত আকারে তারা এই স্কীম চালু রাখে।
কী করা যায়?
এই সমস্যার সমাধানে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ব্যাংকের জন্য উৎসাহ: সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে প্রাইজবন্ড বিক্রির জন্য আর্থিক উৎসাহ প্রদান করতে পারে। যেমন, প্রতিটি বিক্রি করা প্রাইজবন্ডের উপর কমিশন দেওয়া।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাইজবন্ড সম্পর্কে আরও জানানোর প্রয়োজন আছে। এতে চাহিদা বাড়লে, সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলো উৎসাহিত হবে।
- অনলাইন বিক্রয় চালু করা: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে প্রাইজবন্ড বিক্রি করার সুযোগ চালু করা যেতে পারে। এতে সারাদেশে যেকোনো জায়গা থেকে ক্রেতারা সহজে প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন।
জেনে রাখুন:
- ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো সুদের পরিবর্তে মুনাফার ভিত্তিতে চলে। তাই, তারা প্রাইজবন্ড বিক্রি করে না।
- যদি আপনি বেশী পরিমাণে প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে ইচ্ছুক হন, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা থেকে আপনি যেখানে ইচ্ছা তেমন প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে পারেন
বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব ভিডিওতে