সব সময়, সব ব্যাংকে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় না কেন?
সরকারি গেজেটে যদিও বলা আছে, ইসলামী শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক ছাড়া সকল প্রকার সরকারী ও বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংকের সকল শাখায় প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়।
সব সময় সব ব্যাংকের সব শাখায় আদৌও কি প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়?
উত্তর হল না, তবে কিছু কিছু সময় পাওয়া যায়। কিন্তু সব সময় কেন পাওয়া যায় না? তার উত্তর খোজার চেস্টা করি।
দেখুন, প্রাইজবন্ডের ক্রয় মূল্য ও বিক্রয় মূল্য সমান অর্থাৎ ১০০ টাকা। প্রাইজবন্ডের মূল মালিক হল “বাংলাদেশ ব্যাংক”। এই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই সব সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংক সমূহকে ১০০ টাকা মূল্য দিয়েই প্রাইজবন্ড কিনতে হয় এবং গ্রাহকের কাছে ১০০ টাকার বিনিময়েই বিক্রয় করতে হয়।
যেহেতু এই সব ব্যানিজ্যক ব্যাংকগুলো বানিজ্যিক উদ্দ্যেশে পরিচালিত হয়, সেহেতু সকল কাজ কর্মেই তাদের প্রোফিট করার উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু প্রাই জবন্ড কেনা বেচা করে, তারা সামান্যতমও প্রোফিট করতে পারে না। উপরোন্ত প্রাইজবন্ড কেনা বেচার লেজার মেইন্টেইন করার জন্য তাদের একজন অফিসারকে এনগেজ রাখতে হয়।
এছাড়াও বেচার উদ্দেশ্যে প্রাইজবন্ড কিনে রেখে লকারে বন্দি করে রাখলে, তাদের কিছু টাকা অলস পড়ে থাকে। কোন কাজে আসে না। এই সব কারনেই প্রাইজবন্ড কেনা বেচায়, ব্যাংকগুলোর অনীহা লক্ষ্য করা যায়।
কেবলমাত্র “বাংলাদেশ ব্যাংকের” চাপে খুব সীমিত আকারে তারা এই স্কীম চালু রাখে।
আপনি যদি বেশী পরিমান প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে চান, তাহলে সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ১০টি শাখা আছে, সেখান থেকে যত ইচ্ছা সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব ভিডিওতে